বিয়ে করলেই কনে পাবে ১০ গ্রাম সোনা, নতুন বছরে চমক অসম সরকারের

0
422

দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ নতুন বছরে যাঁরা বিয়ের পিঁড়িতে বসছেন, তাঁদের জন্য সুখবর। বিয়েটা করে ফেলতে পারলেই হাতে হাতে মিলবে ১০ গ্রাম সোনা। না, কোনও লটারি নয়। এই সোনা কেনার টাকা দেবে সরকার। একেবারে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে পাঠিয়ে দেওয়া হবে নগদ ৩০ হাজার টাকা। ১ জানুয়ারি থেকে চালু হচ্ছে এই সরকারি প্রকল্প।

এত অবধি পড়ে আনন্দে উৎফুল্ল হলে, বলে রাখা ভাল এমন প্রকল্প চালু হচ্ছে শুধুমাত্র অসমে। বিয়ে করলেই হাতে গরম সোনা পাওয়ার এই প্রকল্প নতুন বছর থেকে চালু করছে অসম সরকার। নাম ‘অরুন্ধতী গোল্ড স্কিম’। তবে এই প্রকল্পের সুবিধা নিতে গেলে মানতে হবে কিছু শর্ত। সরকারি খাতায় লেখা এই শর্তগুলো যদি ঠিক ঠিক মিলে যায়, তবেই কনে পেয়ে যাবে ১০ গ্রাম সোনা কেনার টাকা।

এখন দেখে নেওয়া যাক ‘অরুন্ধতী গোল্ড স্কিম’-এর শর্তগুলো ঠিক কী কী—

১) কনের ন্যূনতম বয়স হতে হবে ১৮ বছর এবং বরের ২১ বছর।

২) কনে যদি প্রথমবার বিয়ের পিঁড়িতে বসে তাহলেই এই সুবিধা মিলবে।

৩) বিয়ের নথি থাকতে হবে ম্যারেজ রেজিস্টারের খাতায়। স্পেশাল ম্যারেজ অ্যাক্টের (১৯৫৪) আওতায় বিয়ে করলে তবেই মিলবে সরকারি প্রকল্পের সুবিধা।

৪) কনে এবং তাঁর বাবার বার্ষিক আয় ৫ লক্ষ টাকার বেশি হলে এই সুবিধা পাওয়া যাবে না।

৫) সবচেয়ে কম দশম শ্রেণি অবধি পড়াশোনা করতেই হবে কনেকে। তবে চা বাগানে কর্মরত বা আদিবাসী মহিলাদের ক্ষেত্রে শিক্ষাগত যোগ্যতার এই সীমারেখা কার্যকর হবে না।


সরকারি সূত্রে খবর, এই প্রকল্প কার্যকর করতে হলে বছরে সরকারি তহবিল থেকে প্রায় ৮০০ কোটি টাকার মতো খরচ হবে। রাজ্যের অর্থমন্ত্রী হেমন্ত বিশ্ব শর্মা বলেছেন, “এই প্রকল্পে সরাসরি সোনা তুলে দেওয়া হবে না কনের হাতে। প্রয়োজনীয় নথি সরকারের ঘরে জমা করলে তাঁদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ৩০ হাজার টাকা পাঠিয়ে দেওয়া হবে।

সেই টাকা শুধু সোনা কেনার জন্যই, অন্য কোনও খাতে ব্যবহার করা যাবে না।” অর্থমন্ত্রীর কথায়, এই প্রকল্পের সুবিধা অনেক। প্রথমত, নাবালক বিয়ে বন্ধ করা সম্ভব হবে। আদিবাসী গ্রামগুলিতে এখনও কম বয়সী মেয়েদের জোর করেই বিয়ের পিঁড়িতে বসিয়ে দেওয়া হয়। দ্বিতীয়ত, নারী শিক্ষার প্রসার হবে।

Previous articleবর্ষশেষের দিনটি কোন রাশির জন্য কেমন জানুন
Next articleবর্ষশেষের সেলিব্রেশন? রইল কিছু লাস্ট মিনিট আইডিয়া

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here