দেশেরসময় ওয়েবডেস্কঃ কোনও কালে ভারতের কোনও সংস্থা এই শিরোপা পায়নি। বিশ্বের প্রথম ১০০ কোম্পানির তালিকায় ভারতের রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজ ৯৬ নম্বরে। এদিনই ২০২০ সালের ফর্চুন গ্লোবাল লিস্ট প্রকাশিত হয়েছে। তাতে বিশ্বের সেরা ৫০০ কোম্পানি রয়েছে। সেই তালিকায় তেল থেকে টেলিকম সব ব্যবসায় দ্রুত গতিতে সম্পত্তি বাড়িয়ে চলা মুকেশ আম্বানির সংস্থা রিলায়েন্স নতুন নজির গড়ল। এক লাফে ১০ ধাপ পার করে বিশ্বের ৯৬তম বড় সংস্থার পালক লাগল রিলায়েন্সের মুকুটে। ২০২০ সালের ৩১ মার্চ যে অর্থবর্ষ শেষ হয়েছে তার হিসেবেই এই তালিকা তৈরি করা হয়েছে। এই অর্থবর্ষে রিলায়েন্সের আয় ছিল ৮৬.২ বিলিয়ন ডলার।
করোনা আবহে সম্পদ বাড়িয়েই চলেছেন রিলায়েন্স কর্তা মুকেশ আম্বানি। বিশ্বজুড়ে যখন করোনা সংকট চলছে তখনই একের পর এক শিখর স্পর্শ করে চলেছেন তিনি। এবার তাঁর সংস্থাও নতুন রেকর্ড গড়ল।
ব্লুমবার্গ বিলিয়নিয়ার ইনডেক্স-এর সর্বশেষ তথ্য বলছে, রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের চেয়ারম্যান মুকেশ আম্বানির বর্তমান সম্পদের পরিমাণ ৮০.৬ বিলিয়ন। ভারতীয় মুদ্রার হিসেবে ৬ লক্ষ ৪ হাজার কোটি টাকার উপরে। চলতি বছরেই তাঁর সম্পদ বৃদ্ধি ২২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। এর আগে বিশ্বের ধনীতম ব্যক্তিদের যে তালিকা প্রকাশ করে ব্লুমবার্গ তাতে চার নম্বরে ছিলেন ফরাসি শিল্পপতি বার্নার্ড আরনল্ট। কিন্তু তাঁর সংস্থা এলভিএমএইচ-এর আয় কমে যাওয়ায় সম্পদের নিরিখে ইউরোপের ধনীতম ব্যক্তিকে সদ্যই পিছনে ফেলে দিয়েছেন ভারত তথা এশিয়ার ধনীতম মুকেশ আম্বানি।
এদিন প্রকাশিত ২০২০ সালের ফর্চুন গ্লোবাল লিস্টে এক নম্বরে রয়েছে মার্কিন সংস্থা ওয়ালমার্ট। সম্পত্তি ৫২৪ বিলিয়ন ডলার। এর পরেই চিনের তিনটি সংস্থা সিনোপেক গ্রুপ, স্টেট গ্রিড এবং চায়না ন্যাশনাল পেট্রোলিয়াম। প্রথম একশোতে না হলেও ৫০০ সংস্থার তালিকায় রয়েছে ভারতের আইওসি, ওএনজিসি, এসবিআই, বিপিসিএল, টাটা মোটর্স এবং রাজেশ এক্সপোর্টস।
আগের বছরের তালিকার থেকে ৩৪ ধাপ নেমে ইন্ডিয়ান অয়েল কর্পোরেশন (আইওসি) এবার ১৫১ নম্বরে। এক বছরে ৩০ ধাপ নেমেছে ওএনজিসি। অয়েল অ্যান্ড ন্যাচারাল গ্যাস কর্পোরেশন রয়েছে তালিকার ১৯০ নম্বরে। তবে ১৫ ধাপ উঠে স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া ২২১ নম্বরে। ২০১৯ সালে ছিল ২০৬ নম্বরে। এবারের তালিকায় ভারত পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশন লিমিটেড (বিপিসিএল) ৩০৯ নম্বরে, টাটা মোটর্স ৩৩৭ নম্বরে আর রাজেশ এক্সপোর্টস তালিকার ৪৬২ নম্বরে।