দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ বিজেপির শহিদ সম্মানযাত্রার জমায়েতকে কেন্দ্র করে জেলায় জেলায় চলল ধরপাকড়। গ্রেফতার হলেন কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী তথা বনগাঁর সাংসদ শান্তনু ঠাকুর। এদিন পুলিশের সঙ্গে বচসায় জড়ানোর পর তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে অভিযোগ।
শুধু শান্তনু ঠাকুর নন, এদিন বিরাটি এলাকায় তাঁর সঙ্গে ছিলেন বিজেপি নেতা জয়প্রকাশ মজুমদার এবং দলের আরও কর্মী সমর্থকরা। তাঁদেরকেও গ্রেফতার করে এয়ারপোর্ট থানায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে বলে খবর।
শহিদ সম্মানযাত্রা শুরুর আগেই এদিন বিরাটিতে কালীবাড়ি এলাকায় পুজো দিতে গিয়েছিলেন শান্তনু ঠাকুর। তাঁর আসার আগে বেশ কিছু বিজেপি কর্মীকে গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে যায় পুলিশ। তারপরেই পুলিশের সঙ্গে বচসায় ছড়িয়ে পড়েন বনগাঁর সাংসদ। কালী মন্দিরের কাছে অবস্থান বিক্ষোভেও বসেন তিনি।
অভিযোগ, পুলিশের গাড়িতে নিজে নিজেই উঠে পড়েন শান্তনু ঠাকুর। পুলিশকে তিনি জানান, কর্মীদের গ্রেফতার করা মানেই তাঁকেও গ্রেফতার করা। তারপর তাঁকে নিয়েই থানায় যায় পুলিশের গাড়ি। এই ঘটনার প্রতিবাদে বিক্ষোভে সামিল হন অন্যান্য বিজেপি কর্মীরাও।
এদিকে শান্তনু ঠাকুর কে গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে ঠাকুরনগরে এদিন রেল অবরোধ করেন বিজেপি কর্মী সমর্থকেরা। প্রায় আধ ঘন্টা অবরোধ চলার পর শান্তনু ঠাকুর এর জামিনের খবর পেয়ে অবরোধ তুলে নেন তারা।
শহিদ সম্মান যাত্রার জমায়েত থেকে মঙ্গলবার আরও গ্রেফতারির ঘটনা ঘটেছে। শিলিগুড়িতে বিজেপি বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ-সহ ৩০ জন বিজেপির কার্যকর্তা গ্রেফতার হয়েছেন। মধ্যমগ্রাম থানায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে ২১ জনকে। এছাড়া জোড়াসাঁকো পুলিশ বিজেপির চার জন কার্যকর্তাকে আটক করেছে। তাঁরা এই মুহূর্তে লালবাজার সেন্ট্রাল লকআপে রয়েছেন। জনা কুড়ি বিজেপি কর্মী গ্রেফতার হয়েছেন উত্তরপাড়া থেকেও।
জেলায় জেলায় শহিদ সম্মানযাত্রার কর্মসূচি বাস্তবায়নে পুলিশি বাধার সম্মুখীন হয়েছেন বিজেপি কর্মী সমর্থকরা। এ প্রসঙ্গে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুভাষ সরকার তোপ দেগেছেন শাসকদলের বিরুদ্ধে। তিনি বলেছেন, রাজ্য সরকার চাইছে কোনও বিরোধী থাকবে না। সেটা তো হয় না।