বিজেপিতেই থাকছেন না তৃণমূলে? নিজের অবস্থান স্পষ্ট করলেন শান্তনু ঠাকুর,আপত্তি নেই বললেন মমতা ঠাকুর

0
2636

দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ গত কয়েকদিন ধরে জল্পনা চলছিল শান্তনু ঠাকুরকে নিয়ে। তিনি কী করতে চলেছেন? বিজেপিতেই থাকছেন? নাকি তৃণমূলে যোগদান করবেন? বিজেপি-তে থেকেও তিনি দলের বিরুদ্ধে সরব। আবার তৃণমূল তাঁকে বেশ কিছু দিন ধরে স্বাগত জানাচ্ছে। কিন্তু বনগাঁর বিজেপি সাংসদ শান্তনু ঠাকুর কী করবেন, তা নিয়ে প্রকাশ্যে কোনও মন্তব্য করেননি এত দিন। সোমবার চুঁচু্ড়া সুকান্তনগর ফুটবল মাঠে মতুয়া মহাসঙ্ঘের জনসভায় শান্তনু জানালেন, তিনি সিএএ-র পক্ষে। এদিন হুগলির চুঁচু্ড়ায় সুকান্ত নগর ফুটবল মাঠে মতুয়া মহাসংঘের জনসভায় নিজের অবস্থান স্পষ্ট করলেন মতুয়া মহাসংঘের সংঘাধিপতি বিজেপি সাংসদ শান্তনু ঠাকুর ।

বনগাঁর সাংসদ বলেন, “আমি সিএএ-এর পক্ষে। আমি সংসদের নিম্নকক্ষে ভোট দিয়ে সিএএ পাস করিয়েছি। যারা সমর্থনই করছে না, তারা কী করে আমাকে চাইছে? একটা বিষয় পরিষ্কার হওয়া উচিত। ১৯৭১ সালের পরে যাঁরা ভারতে এসেছেন, তাঁদের যাতে নাগরিকত্ব দেওয়া যায় তার জন্য আমি আন্দোলন করছি। সিএএ ইমপ্লিমেন্ট একাত্তরের পরে আসা মানুষের পক্ষে যাতে যায়, তার জন্য আন্দোলন করছি। যারা এর সমর্থনই করছে না, সেখানে যাওয়ার প্রশ্ন আসে কী করে? সিএএ-এর বিরোধিতা যারা করছে, সেখানে আমি থাকি কী করে? আগে তারা বলুক যে তারা সিএএসমর্থন করছে, তারপর আমরা দেখছি কী করা যায়। সিএএ সমর্থন করুক আগে।”

সিএএ-কে সামনে রেখে মতুয়া সম্প্রদায়ের নেতৃত্বের রাশ কার হাতে থাকবে তা নিয়ে ফের জল্পনা উস্কে দিলেন প্রাক্তন তৃণমূল সাংসদ মমতাবালা ঠাকুর। যে বনগাঁর প্রাক্তন সাংসদ তিনি, সেখানকারই বর্তমান সাংসদ সাংসদ শান্তনু ঠাকুরের সম্পর্কে জেঠিমা তিনি। দু’জনের মধ্যে রাজনৈতিক এবং সংঘগত সংঘাত রয়েছে। সেই জায়গা থেকে মিলেমিশে কাজ করার কথা বলে মতুয়া সম্প্রদায়ের রাজনৈতিক সমীকরণে নতুন মাত্রা যোগ করলেন মমতাবালা।শান্তনু বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে এলে মতুয়া সম্প্রদায়ের স্বার্থে দলে থেকেই তাঁর সঙ্গে কাজ করতে কোনও আপত্তি নেই বলেই জানিয়েছেন। পাশাপাশি তাঁর মন্তব্য, ‘‘তৃণমূল যে দিন আর সম্মান দেবে না, সে দিনই নতুন করে ভাবব।’’উত্তর ২৪ পরগনার ঠাকুরনগরের ঠাকুরবাড়িতে সিএএ ইস্যুতে সোমবার অবস্থান বিক্ষোভ দেখায় মতুয়া সম্প্রদায়ের একাংশ। সেখানে বিজেপি-র বিরুদ্ধে সরব হন মমতাবালা। ‘‘বিজেপি ভয় পেয়েছে বলেই সিএএ কার্যকর করছে না,’’— এ কথা বলেন তিনি। পাশাপাশি তিনি শান্তনুকে তৃণমূলে আসার আহ্বানও জানান পরোক্ষ ভাবে। মমতাবালা বলেন, ‘‘জাতির স্বার্থে, মতুয়াদের স্বার্থে যিনি আসবেন, তাঁকেই স্বাগত। মতুয়াদের দাবি আদায়ে একসঙ্গে লড়াই করতে আমার কোনও অসুবিধা নেই।’’ শান্তনু প্রসঙ্গে বলেন, ‘‘পারিবারিক অসুবিধা থাকতেই পারে। দল ঠিক করবে তিনি দলে আসবেন কি না।’’

এপ্রসঙ্গে খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক বলেন, “মমতাবালা ঠাকুর আর শান্তনু ঠাকুরের মধ্যে আমি মধ্যস্থতা করতে পারি।”

পাশাপাশি শান্তনু ঠাকুর  আরও বলেন, “কেন্দ্র সরকারের কাছে আমাদের প্রশ্ন কবে সিএএ লাগু হবে? কাদের কারণেই বা লাগু হচ্ছে না? যদি কিছু সংখ্যক মানুষ সিএএ লাগু করতে না দেয় এবং তার জন্য যদি হিংসা ছড়ায়, তাহলে আমরা এই নমঃশূদ্র সমাজ বাংলায় কম নেই। আমরা ভারত সরকারকে অভয় দিচ্ছি যে অশান্তি হলে তা প্রতিরোধ করার ক্ষমতা এই সমাজের মানুষের আছে। ৭১ সালের পর যাঁরা ভারতে এসেছেন, তাঁদের নাগরিকত্ব দেওয়া মতুয়া মহাসংঘের কর্তব্য।”

Previous articleআপনি কি বিজেপি প্রার্থী হতে চান? নিজের নাম-ধাম লিখে এখনই জমা দিন গেরুয়া শিবিরের ড্রপ বক্সে
Next articleলাইভ আপডেট: বিশ্বভারতীকে ঘিরে ঘৃণ্য রাজনীতি চলছে, জামবুনির সভামঞ্চে বললেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here