![](https://deshersamay.com/wp-content/uploads/2022/01/DS06012022-2-683x1024.jpg)
দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ রাজ্য বিজেপির (BJP) অন্দরে অসন্তোষ প্রসঙ্গে প্রশ্ন করা হলে দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘কিছু মানুষ বরাবরই ক্ষুব্ধ-বিক্ষুব্ধ থাকেন। পরিবর্তন হওয়ার পর যতক্ষণ না পুরোপুরি নতুন নেতৃত্বের নিয়ন্ত্রণে আসছে ততক্ষণ কিছু সমস্যা থাকে। যাঁরা এরকম থাকেন তাঁদের সঙ্গে কথাবার্তা বলে বোঝানো হয়, যোগ্য কাজ দেওয়া হয়। সেই প্রক্রিয়াটাই চলছে।’
![](https://deshersamay.com/wp-content/uploads/2022/01/2020-12X5-copy-1024x427-1-1024x491-1.jpg)
‘পিকনিক সবাই করতেই পারেন। তাছাড়া বিজেপিতে মাছ-মাংসও খাওয়া হয়। দলীয় দফতরে রান্না হয়। দলের বৈঠকে মাছ ভাত, মাংস ভাত বা বিরিয়ানিও হয়। সর্বভারতীয় নেতারা নিরামিষ খান, তাঁদের খাওয়ার বাড়ি থেকে আসে। বাংলায় খাওয়া নিয়ে কোনও চিন্তা নেই, যে যেটা ইচ্ছে খেতে পারেন।’ শান্তনু ঠাকুরের উপস্থিতিতে বিজেপির বিক্ষুব্ধদের পিকনিককে ঘিরে প্রশ্নের প্রেক্ষিতে এমনটাই সাফাই দিলেন দলের সর্বভারতীয় সহসভাপতি দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh)।
![](https://deshersamay.com/wp-content/uploads/2022/01/1642408617516.jpg)
শনিবার কলকাতায় বিক্ষুব্ধদের নিয়ে বৈঠক করেন শান্তনু। মতুয়া সম্প্রদায়ের নেতা শান্তনু রবিবার ঠাকুরনগরে বৈঠক করেন মতুয়া বিধায়ক ও অন্য নেতাদের নিয়ে। অতঃপর, সোমবার আয়োজন হয় চড়ুইভাতির। কলকাতা, হুগলি থেকেও রাজ্য বিজেপি-র বিক্ষুব্ধ নেতারা যান বনগাঁর নহাটায়। সেখানেই হয় পিকনিক-প্রতিবাদের আয়োজন।
![](https://deshersamay.com/wp-content/uploads/2022/01/annapurna-car-bazar-new-ad-1-1024x768-2.jpg)
নতুন কমিটিতে জায়গা না পাওয়া সায়ন্তন বসু, রীতেশ তিওয়ারিরা প্রথম থেকেই ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন ঘনিষ্ঠ মহলে। অন্য দিকে, জেলা সভাপতিদের নামের তালিকা প্রকাশের পরে সাংগঠনিক হোয়াটস্অ্যাপ গ্রুপ ছেড়ে দিয়ে প্রতিবাদে শামিল হন মতুয়া বিধায়করা। সেই ক্ষোভের সুরকে আরও মজবুত করে দলের একাধিক হোয়াটস্অ্যাপ গ্রুপ ছেড়ে দেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা বনগাঁর সাংসদ শান্তনু। তাঁর সব রাগই রাজ্য বিজেপি-র সাধারণ সম্পাদক (সংগঠন) অমিতাভ চক্রবর্তীকে ঘিরে। প্রকাশ্যেই নাম না করে অমিতাভের দিকে ক্ষমতা কুক্ষিগত করে রাখার তির ছুড়েছেন শান্তনু। তাঁর পাশে দাঁড়িয়েছেন সায়ন্তন, জয়প্রকাশ, রীতেশের মতো পরিচিত মুখেরা।
এ নিয়ে প্রশ্ন করতে দিলীপের উত্তর, ‘কিছু মানুষ বরাবরই ক্ষুব্ধ-বিক্ষুব্ধ থাকেন। পরিবর্তন হওয়ার পর যতক্ষণ না পুরোপুরি নতুন নেতৃত্বের নিয়ন্ত্রণে আসছে ততক্ষণ কিছু সমস্যা থাকে। যাঁরা এরকম থাকেন তাঁদের সঙ্গে কথাবার্তা বলে বোঝানো হয়, যোগ্য কাজ দেওয়া হয়। সেই প্রক্রিয়াটাই চলছে।’
![](https://deshersamay.com/wp-content/uploads/2022/01/BISHAK-JOTY.jpg)
এদিকে এদিনই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে সাক্ষাৎ হওয়ার কথা সমাজবাদী পার্টির নেতা কিরণময় নন্দর। সেই প্রসঙ্গে দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘কিরণময় নন্দ নতুন নন, বহু পুরনো রাজনীতিবিদ। কিন্তু তিনি কেন দিদির কাছে আসছেন? দিদি নিজেই গিয়েছেন ভাইয়াজির কাছে। কিন্তু তখন কোনও লাভ হয়নি। এখন হয়ত অখিলেশ যাদবের মনে হয়েছে যে অন্যর সাহায্য লাগবে, না হলে অবস্থা খারাপ হয়ে যাবে। তাছাড়া মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) উত্তরপ্রদেশে গিয়ে কী সাহায্য করতে পারবেন? গোয়াতে যা হয়েছে এখানেও তাই হবে।’ একইসঙ্গে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Abishek Banerjee) গোয়া সফরকে কটাক্ষ করে বিজেপির সর্বভারতীয় সহসভাপতি বলেন, ‘এখানে দলে যে ধরনের মারামারি শুরু হয়েছে, তাতে কিছুদিন গোয়ায় ঘুরে এলে মনটা ভাল থাকবে।’
![](https://deshersamay.com/wp-content/uploads/2022/01/dey-scaled.jpg)
করোনা (Corona) সংক্রমণ নিয়েও রাজ্য সরকারকে তীব্র কটাক্ষ করেন দিলীপ ঘোষ। তিনি বলেন,’সংক্রমণ কম দেখানোর জন্য টেস্ট কমিয়ে দেওয়া হয়েছে। বাংলা চ্যাম্পিয়ান হয়ে গিয়েছিল করোনায়। তাই বাংলার মুখ রক্ষার জন্য তথ্যকে কমবেশি করে দেখান হচ্ছে।’
![](https://deshersamay.com/wp-content/uploads/2022/01/maasaradaroadlines02-scaled.jpg)