বাংলার রেড জোনেও খুলছে মদের দোকান!দুপুর ১২টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা

0
3333

দেশের সময় ওয়েবডেস্ক: করোনা সংক্রমণ রুখতে আগামী ১৭ মে পর্যন্ত দেশজুড়ে লকডাউনের মেয়াদ বৃদ্ধি করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। তবে লকডাউনের তৃতীয় দফায় আরও বেশ কিছু বিষয়ের সঙ্গে মদের দোকান খোলার ক্ষেত্রেও কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের তরফে ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে। সোমবার থেকে পরবর্তী ১৪ দিন শুধুমাত্র গ্রিন জোনগুলিতে লিকার শপ খোলা যাবে বলে শুক্রবার প্রকাশিত এক কেন্দ্রীয় নির্দেশিকায় উল্লেখ করা হয়েছে। একইসঙ্গে পান ও তামাকজাত পণ্য বিক্রির উপরেও বিধিনিষেধ শিথিল করা হয়েছে। কিন্তু করোনার আবহে সুরাপ্রেমীদের জন্য সুখবর দিয়ে বাংলা, মহারাষ্ট্র, কর্নাটক ও অসমের মতো রাজ্যে রেড জোনেও খুলতে যাচ্ছে স্ট্যান্ড অ্যালোন মদের দোকান।

বাংলার ক্ষেত্রে সূত্রের খবর, স্ট্যান্ড অ্যালোন মদের দোকান খুলে যাবে সোমবার থেকেই। রেড জোনের ক্ষেত্রে দুপুর ১২ টা থেকে সন্ধ্যা ৬ পর্যন্ত খোলা থাকবে মদের দোকান। তবে, কনটেইনমেন্ট জোনে থাকবে না মদের দোকান খোলার সুযোগ। গ্রিন ও অরেঞ্জ জোনের জন্য দোকান খোলার সময়সীমা সকাল ১০টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা। যদিও সরকারের একটা অংশ জানাচ্ছে, রেড জোনে দোকান খোলা হতে পারে মঙ্গলবার থেকে। তবে, স্ট্যান্ড অ্যালোন মদের দোকান খোলা থাকলেও খোলা যাবে বার বা শপিং মলের ওয়াইন শপ।

বাংলার পথে হেঁটেই মহারাষ্ট্রের মুখ্যসচিব ভূষণ গাংরানি বলেন, ‘রেড জোনে থাকলেও রাজ্যের অনেক জেলা এখন কনটেইনমেন্ট জোন নয়। করোনা আক্রান্তের খোঁজও সেইসব জায়গায় বেশ কিছুদিন পাওয়া যায়নি। এই পরিস্থিতিতে আমরা সেইসব জায়গাতেও জামা-কাপড়-জুতো-মদ-স্টেশনারি দোকান খোলার কথা ঘোষণা করছি।’ তবে, সেইসব দোকানগুলি স্ট্যান্ড অ্যালোন হতে হবে।

রাজ্য সরকারগুলির এই ঘোষণার অনেকেই অবশ্য সিঁদুরে মেঘ দেখছেন। সরকার যদিও দোকানগুলিতে সোশ্যাল ডিস্ট্যান্সিং বজায় রাখার বিষয়ে কড়া নির্দেশ দিয়েছে, তবে সাধারণ মানুষ তা পালনে কতটা সমর্থ হবে, তা নিয়ে সন্দিহান অনেকেই।

যদিও মদের দোকান খোলার ক্ষেত্রে বেশ কিছু সুস্পষ্ট বিধিনিষেধ কঠোরভাবে মেনে চলার উপরে বিশেষ জোর দেওয়া হয়েছে কেন্দ্রের নির্দেশিকায়। বলা হয়েছে, বিক্রেতার সঙ্গে ন্যূনতম ছ’ফুট দূরত্ব নিশ্চিত করতে হবে বিক্রেতাকে। দু-গজের দূরত্ব বজায় রাখতে হবে প্রত্যেক ক্রেতার মধ্যেও। সেইসঙ্গে একসঙ্গে যাতে পাঁচ জনের বেশি ক্রেতা দোকানে যেন না থাকেন, তাও নিশ্চিত করতে হবে। তবে রেড জোন ও তার সংলগ্ন অঞ্চলে মদের দোকান খোলার কোনও সম্ভাবনা নেই বলে জানা গিয়েছিল। কিন্তু অনেক রাজ্যই সেই বিষয়ে হাঁটছে না বলেই জানা গিয়েছে।

Previous articleResidents blocked road to stop exim trade
Next articleএবার বনগাঁ মহকুমার গাইঘাটা এলাকার এক বাসিন্দার শরীরে করোনার জীবানু মিলল

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here