দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ দেরিতে হলেও হেমন্তের ছোঁয়া লেগেছে বাংলায়। বাতাস শুকনো, কমল রাতের তাপমাত্রা।
সপ্তমীতে দিনভর মেঘলা আকাশের পর আর ভোগায়নি বৃষ্টি। বুধবারের মধ্যে গোটা দেশ থেকেই বিদায় নেবে দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বাতাস। আর ফেরত যেতে চলা বর্ষার পিছন পিছন বাংলায় হাজির উত্তর ভারতের শুকনো বাতাস। এখনও উত্তরের বাতাস তেমন শীতল হয়নি, তাই তাপমাত্রার পতন হয়েছে হিসেব কষে।
মঙ্গলবার ভোরে আলিপুরের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা নেমে যায় ২১.১ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। চলতি সময়ের স্বাভাবিকের চেয়ে দু’ডিগ্রি কম। দমদমে তাপমাত্রা নামে ২১.৯ ডিগ্রিতে, সল্টলেকে ২২ ডিগ্রিতে। বাঁকুড়া, বীরভূম, পশ্চিম বর্ধমানে পারদ নেমেছে ২০ ডিগ্রির নীচে। আবহবিদরা জানিয়েছেন, আপাতত শুক্রবার পর্যন্ত আবহাওয়া শুকনো থাকবে। কম থাকবে রাতের তাপমাত্রা। যেমন, কলকাতার তাপমাত্রা ২০-২১ ডিগ্রির আশপাশেই থাকবে। তবে অক্টোবরের শেষ দিন থেকে আবার আকাশের চরিত্র বদলাবে। বঙ্গোপসাগরে নতুন নিম্নচাপের ইঙ্গিত পেয়েছেন আবহবিদরা। তার পরোক্ষ প্রভাবে দখিনা বাতাসের আনাগোনা বাড়বে। ফলে আকাশ মেঘলা হবে। নভেম্বরের শুরুতে বিক্ষিপ্ত বৃষ্টির সম্ভাবনাও থাকবে। ফলে সে সময় রাতের তাপমাত্রা বেড়ে ২৩-২৪ ডিগ্রিতে পৌঁছে যেতে পারে। সাগর শান্ত হলে তবেই সুযোগ মিলবে হেমন্তের শিরশিরানি পাওয়ার।
নিয়ম অনুযায়ী, ১২ অক্টোবর নাগাদ কলকাতা থেকে বর্ষা বিদায় নেওয়ার কথা। তার পর ঘূর্ণিঝড় মরসুম। তার ফাঁকে ফাঁকে উত্তরের শুকনো বাতাসের আনাগোনা শুরু হয়ে যায় বাংলায়। যেমন, ২০১১ সালে অক্টোবরেই পারদ নেমে গিয়েছিল ১৮.৯ ডিগ্রিতে। ২০১৮ সালে ২০ ডিগ্রিতে। এ বার দিনকয়েক আগে পর্যন্তও রাতের তাপমাত্রা ২৫-২৬ ডিগ্রির আশপাশে ঘোরাফেরা করছিল। যার অন্যতম কারণ সাগরে পর পর নিম্নচাপ। এবং তার ধাক্কায় অক্টোবরের শেষ সপ্তাহেও বর্ষার থেকে যাওয়া। তবে পুজোর নিম্নচাপ বাংলাদেশে সরে যাওয়ার পরই হাওয়াবদল। একটি পশ্চিমি ঝঞ্ঝার হাত ধরে কাশ্মীর, সিকিমে মরসুমের প্রথম তুষারপাতও হয়েছে। সবমিলিয়ে হাজির হেমন্ত।