দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ সোমবার গেদে সীমান্ত থেকে দর্শনার উদ্দেশে আনুষ্ঠানিক ভাবে রওনা দেয় ১০টি ইঞ্জিন। এই উপলক্ষে আয়োজিত ভার্চুয়াল অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর, রেলমন্ত্রী পীযূষ গোয়েল, রেলের রাষ্ট্রমন্ত্রী সুরেশ আঙ্গাড়ি এবং বাংলাদেশের তরফে রেলমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন, বিদেশমন্ত্রী আবদুল কালাম আবদুল মোমেন প্রমুখ। ঘণ্টায় ১২০ কিলোমিটার গতিবেগসম্পন্ন ইঞ্জিনগুলি বাংলাদেশের পণ্য ও যাত্রী–পরিবহণে বিশেষ সহায়ক হবে এই ইঞ্জিনগুলি।
ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে ইঞ্জিনগুলির যাত্রা–সূচনা করে বিদেশমন্ত্রী বাংলাদেশের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের উন্নতিতে বাড়তি গুরুত্ব দেন। উভয় দেশের মধ্যে বাণিজ্যিক সম্পর্কও বৃদ্ধি পেয়েছে বলে মন্তব্য করেন তিনি। রেল ও বাণিজ্যমন্ত্রী পীযূষ গোয়েল জানান, বাংলাদেশে রেল–কাঠামোর উন্নয়নে সব রকম সহায়তা করতে প্রস্তুত ভারত। তা ছাড়া ১৯৬৫ সালের আগে সীমান্তের উভয় পারের সংযোগ–রক্ষাকারী সমস্ত রেলপথ ফের চালু করার ওপরেও গুরুত্ব দেন তিনি। বাংলাদেশের বিদেশমন্ত্রী মোমেনের মতে, দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক এখন সবচেয়ে ভাল জায়গায় রয়েছে। ভবিষ্যতে এই সম্পর্ককে আরও এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার ওপর গুরুত্ব দেন তিনি। বাংলাদেশের রেলমন্ত্রী ইদের আগে ভারত থেকে ১০টি ইঞ্জিন পাওয়াটাকে ইদ উপহার বলে বর্ণনা করেন।
বাংলাদেশের রেলমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন সাংবাদমাধ্যমকে জানান , ‘যাত্রিবাহী ট্রেনের চাহিদা বাড়ায় নতুন অনেক কোচ আমদানি করা হয়েছে। পাশাপাশি ভারতীয় পণ্য পরিবহণের জন্য ভারত থেকে লোকোমোটিভ আনার বিষয়েও চিন্তা–ভাবনা করা হয়। ২০১৯–এর আগস্ট মাসে সরকারি ভাবে ভারত সফরের সময় উভয় দেশের মধ্যে ব্যবসা–বাণিজ্য বাড়ানোর লক্ষ্যেয লোকোমোটিভ সরবরাহের বিষয়ে আলোচনা হয়। এ ছাড়া ওই বছরের অক্টোবরে দু’দেশের প্রধানমন্ত্রীর মধ্যে আলোচনায় ভারতীয় রেল বাংলাদেশ রেলওয়েকে ১০টি লোকোমোটিভ উপহার হিসেবে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়।’
এই লোকোমোটিভগুলি পাওয়ার ফলে বাংলাদেশ রেলওয়ের ইঞ্জিনের চাহিদা কিছুটা কমবে এবং পূর্বাঞ্চলের সঙ্গে পশ্চিমাঞ্চলের মধ্যে অধিক সংখ্যক যাত্রিবাহী ও মালবাহী ট্রেন চালানো সম্ভব হবে। এ ছাড়া ইন্দোনেশিয়া থেকেও প্রায