এখানে ক্লিক করুন,দেখুন ভিডিও
দেশের সময়,বনগাঁ: বিজেপির ডাকা বনগাঁ শহর বনধে তেমন প্রভাব পরল না। যদিও বিজেপি নেতৃত্বের দাবি বনধ সফল হয়েছে। বিজেপির আরও অভিযোগ, বনধ ব্যর্থ করতে তৃণমূল নেতারা ব্যবসায়ীদের ফোন করে করে হুমকি দিয়ে দোকান খোলানোর চেষ্টা করেছে। যদিও এই অভিযোগ মিথ্যা বলে দাবি করেছে তৃণমূল।
বনগাঁ পৌরসভার ১৯ নম্বর ওয়ার্ডে বিজেপি কার্যালয়কে দখল করাকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়ায়। তৃণমূলের দাবি, ওই ওয়ার্ডের কাউন্সিলর শুভেন্দু মিস্ত্রি তৃণমূলের হয়ে ভোটে দাড়িয়ে কাউন্সিলর হয়েছিলেন। সেই সময় এলাকার মানুষকে পরিষেবা দিতে রেলের জায়গায় একটি কার্যালয় তৈরি করা হয়। সেই কার্যালয় নির্মাণের ক্ষেত্রে তৃণমূলের কর্মীরা অংশ নেয়।
অথচ সম্প্রতি শুভেন্দু মিস্ত্রি বিজেপিতে যোগ দেন। এবার তার সঙ্গে সঙ্গেই কার্যালয়ের দখল চলে যায় বিজেপির হাতে। এইভাবে কার্যালয় দখল করার বিরোধিতা করে তৃণমূল। আর তাই নিয়ে শুরু হয় গোলমাল। গত মঙ্গলবার এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। বিজেপির , পুলিশ জোর করে ওই কার্যালয় বন্ধ করার চেষ্টা করে। আর তাতে বাধা দিতে গেলে পুলিশের মারে জখম হন দুজন বিজেপি কর্মী।
এই ঘটনার প্রতিবাদ জানাতে শুক্রবার বনগাঁ শহর বনধ ডাকে বিজেপি। বন্ধের সমর্থনে মিছিল বের করে বিজেপি।
এদিকে বিজেপির ডাকা বনধে, শুক্রবার সকাল থেকেই বনধের বিরোধিতা করে পথে নামে তৃণমূল। তৃণমূলের শহর সভাপতি শংকর আঢ্যর নেতৃত্বে শহরের বিভিন্ন এলাকায় মিছিল বের হয়। সেখানে বনধের বিরোধিতা করে ব্যবসায়ীদের তাদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান খোলার আবেদন জানানো হয়।ত
বেলা বাড়তেই শহরের অধিকাংশ দোকানপাট খুলে যায়। এদিন সাংবাদিক বৈঠক করে বিজেপি নেতা দেবদাস মন্ডল অভিযোগ করেন, তৃণমূল নেতৃত্ব ফোন করে হুমকি দিয়ে ব্যবসায়ীদের দোকান খোলার চেষ্টা করেন। তবু সেই হুমকির কাছে মাথা নত না করে সাধারণ মানুষ থেকে ব্যবসায়ী প্রত্যেকেই সাড়া দিয়ে বনধ সফল করেছেন।
অন্যদিকে পাল্টা সাংবাদিক বৈঠক করে শঙ্কর আঢ্য দাবি করেন , বিজেপির ডাকা এই কর্মনাশা বনধ বনগাঁর সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে ব্যবসায়ী প্রত্যেকেই প্রত্যাহার করেছেন। এদিন সাত-আটটি বাজারের সবকটি ছিল খোলা এবং স্বাভাবিক ছিল। যান চলাচল ছিল অন্যান্য দিনের মতো সম্পূর্ণ স্বাভাবিক।
স্কুল-কলেজ সরকারি কার্যালয় সবই খোলা ছিল। এদিন কংগ্রেসের পক্ষ থেকেও আলাদা সাংবাদিক বৈঠক করে শহর কংগ্রেসের নতুন সভাপতি মহিবুল সিদ্দিকী বলেন, এদিনের বনধ আংশিক সফল এবং আংশিক ব্যর্থ হয়েছে। তিনি অভিযোগ করে বলেন, তৃণমূল নিজেদের দখল হয়ে যাওয়া অফিস ফেরত পাওয়ার জন্য এখন বড় মুখে অভিযোগ করছেন। অথচ তারাই কংগ্রেসের বনগাঁ শহরের উপরে থাকা দুটি কার্যালয় দখল করে রেখেছে।
আমরা কোন সংঘাতে যেতে চাই না। তৃণমূল নেতৃত্বের কাছে আমাদের একান্ত অনুরোধ তারা যেন নৈতিকতা বজায় রেখে আমাদের কার্যালয় দুটি আমাদের ফিরিয়ে দেন।