দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ গত ২মে শ্বাস কষ্ট নিয়ে বাপ্পা শীল (৩০) নামে এক যুবক বনগাঁ হাসপাতালে নিজেই গিয়েছিলেন চিকিৎসা পরিষেবা পাওয়ার জন্য৷ কর্মরত চিকিৎসকেরা তাঁকে প্রাথমিক ভাবে পরীক্ষা করেই রেফার করেন কলকাতা বেলেঘাটা অাইডি হাসপাতালে।
স্থানীয় সূত্রে জানাগিয়েছে ওই যুবকের কাছে প্রয়োজনীয় টাকা না থাকায় প্রথমে সে তাঁর গাইঘাটার বাড়িতে যায় ,সেখানে গ্রামের বাসিন্দারা কোন ভাবেই তাঁকে বাড়ি ঢুকতে না দেওয়ায় সে সোজা চলে যায় গাইঘাটা থানায়, সেখানে কর্মরত পুলিশদেরকে সব কিছু খুলে বলার পরও কোন সাহায্য না পেয়ে অবশেষে গাইঘাটা ব্লকের চাঁদপাড়া প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে পায়ে হেঁটে কোনক্রমে পৌছালেও ভর্তি নেননি চিকিংসকরা,স্বাস্থ্যকেন্দ্র সূত্রে জানা গিয়েছে বনগাঁ হাসপাতাল থেকে যে প্রেসক্রিপশন ওই যুবকের কাছে পাওয়াগেছে তাতে স্পষ্ট করে লেখা ছিল করোনা সংক্রমণের লক্ষণ রয়েছে তাঁর শরীরে এবং তাঁকে বেলেঘাটা আইডি হাসপাতালে রেফার করা হয়েছে৷ এখানে কোন পরিকাঠামো নেই বলেই ভর্তি করা হয়নি৷
ঠাকুরনগরের দুই সমাজ কর্মীকে ওই যুবক জানিয়েছেন , সে বাইরে একটি হোটেলে কাজ করত,সেখানে অনেকেই অসুস্থ হয়ে পড়ায় সেখান থেকে ট্রাকে চেপে বনগাঁয় চলে আসে এবং তাঁর শ্বাস কষ্ট শুরু হওয়ায় সে প্রথমে বনগাঁ হাসপাতালে নিজেই গিয়েছিল চিকিৎসার জন্য,হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ওই যুবকের করোনা সংক্রমণের লক্ষণ দেখেও কি ভাবে হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দিল , এটাই এখন লাখ টাকার প্রশ্ন হয়ে ঘুরছে বনগাঁ মহকুমার সাধারণ মানুষের মুখে মুখে। ঠাকুরনগরের বাসিন্দা আশিষ বিশ্বাস বলেন বনগাঁ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের এই গাফিলতি যথেষ্ঠ চিন্তার ভাজ ফেলেছে এলাকার মানুষের মধ্যে৷ ওই যুবক সোমবার থেকে ঠাকুরনগর হাসপাতালের বাইরে রাস্তার পাশে পড়ে ছিল ,গাইঘাটা বিডিও অফিসে যোগাযোগ করে মঙ্গলবার রাতে বনগাঁ হাসপাতালে ফের তাঁকে পাঠানো হয়েছে৷
বনগাঁর মহকুমাশাসক কাকলি মুখোপাধ্যায় বলেন, ওই যুবককে এম্বুলেন্স করে মঙ্গলবার রাতেই বনগাঁ মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে আসা হয় এবং তাঁর চিকিৎসার ব্যাবস্থা করা হয়েছে।