বনগাঁ মহকুমায় ক্রমশ কোণঠাসা হচ্ছে বিজেপি,আস্থা ভোটে হেরে হাতছাড়া হল আরও একটি পঞ্চায়েত

0
611

দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ গত পঞ্চায়েত ভোটে বিজেপি বনগাঁ মহকুমায় চার টি পঞ্চায়েত দখল করেছিল। তার মধ্যে বাগদার সিন্দ্রাণী পঞ্চায়েত ও চৌবেড়িয়া দু’ই এই দু’টি পঞ্চায়েত হাতছাড়া হল বিজেপির। এদিন ভোটাভুটি হয়েছে চৌবেড়িয়া দু’ই পঞ্চায়েতে। পঞ্চায়েতের সংখ্যাগরিষ্ঠ সদস্য ভোট দিয়েছেন প্রধান নমিতা রায় ঘরামির বিরুদ্ধে। প্রশাসন সূত্র বলছে, এদিন আট জন সদস্য ভোট দিয়েছেন প্রধানের বিপক্ষে। পক্ষে কোনও ভোটই পড়েনি।

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বনগাঁ ব্লকের বিজেপি পরিচালিত একমাত্র পঞ্চায়েত ছিল চৌবেড়িয়া দু’ই। ১৪ অগস্ট পঞ্চায়েতের তৃণমূল সদস্যেরা প্রধানের অপসারণ চেয়ে ব্লক প্রশাসনের কাছে চিঠি দেন। ৩১ অগস্ট আস্থা বৈঠক ডাকে প্রশাসন।

বিতর্ক দানা বাঁধে সেই বৈঠক ঘিরেই৷ ব্যাপক অশান্তি ছড়িয়েছিল। বিজেপির দাবি, প্রধানের অপসারণ চেয়ে তৃণমূল যে চিঠি দিয়েছিল, তার বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আবেদন করা হয়েছিল। আদালত স্থগিতাদেশ দেয়। তারপরেও কী করে আস্থা বৈঠক হল, তা নিয়ে প্রশ্ন তোলে বিজেপি।
সেদিন ভোটাভুটি হলেও প্রশাসনের পক্ষ থেকে অবশ্য ফল প্রকাশ করা হয়নি।

পুলিশ ও প্রশাসন সূত্রে জানাগিয়েছে, ১৪ অগস্ট প্রধানের অপসারণ চেয়ে যে চিঠি দেওয়া হয়েছিল, সেখানে ভাষাগত কিছু ত্রুটি ছিল। সে কারণে আদালত জানিয়েছিল, ৩১ অগস্টের বৈঠকে যদি কোনও সিদ্ধান্ত হয়, তা গ্রাহ্য হবে না। তবে নতুন করে আবেদন করা যাবে।তৃণমূলের সদস্যেরা সেই মতোই নতুন করে অনাস্থা প্রস্তাব আনেন। প্রশাসনের পক্ষ থেকে বৃহস্পতিবার নতুন করে আস্থা বৈঠক ডাকা হয়।

প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, পঞ্চায়েতের মোট সদস্য ১৫ জন। গত পঞ্চায়েত ভোটে বিজেপি পায় ৮টি আসন। তৃণমূল পেয়েছিল ৭টি আসন। পরে তৃণমূলের এক সদস্য মারা যান। প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবারের বৈঠকে তৃণমূল ৬ জন সদস্য এবং বিজেপির ২ জন সদস্য উপস্থিত ছিলেন। সকলেই প্রধানের বিরুদ্ধে ভোট দিয়েছেন। প্রধান-সহ বিজেপির বাকি সদস্যেরা ভোটাভুটিতে যোগ দেননি।

বিজেপি বনগাঁ সাংগঠনিক জেলার সভাপতি মনস্পতি দেবের অভিযোগ, ‘এদিন আদালতের নির্দেশ অমান্য করে বৈঠক ডেকেছিল প্রশাসন। আদালত নির্দেশ দিয়েছে, আগে বিজেপির যে দু’জন সদস্য তৃণমূলে যোগদান করেছেন, তাঁদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করতে হবে। তারপরে বৈঠকের বিষয়ে আদালত সিদ্ধান্ত নেবে।’

তৃণমূলের বনগাঁ সাংগঠনিক জেলার সভাপতি আলোরানি সরকার জানিয়েছেন, ‘মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উন্নয়নে সকলে সামিল হতে চেয়েছেন। পঞ্চায়েত আমরা দখল করলাম। আমরা আগামী সাত দিনের মধ্যে বোর্ড গঠন করব।’


এদিনের বৈঠকে প্রধানের বিরুদ্ধে ভোট দিয়েছেন উপপ্রধান, বিজেপির মাধুরী রায়। তিনি বলেন, ‘প্রধানের প্রতি আমার আস্থা ছিল না। উন্নয়নমূলক কাজ করতে পারছিলাম না। এ বার মানুষের জন্য উন্নয়ন করব। তৃণমূল যোগদানও করব।’ এদিনের বৈঠকে ভোটাভুটিতে জয়ী হওয়ার পরেই কার্যত উৎসবে মাতেন তৃণমূলের কয়েকশো নেতা-কর্মী। চলে আবির খেলা।

Previous articleWeather Update : ফের কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গের কয়েকটি জেলায় টানা বৃষ্টির সম্ভাবনা
Next articleউত্তরপ্রদেশে প্রার্থী বাছাইয়ে স্ক্রিনিং কমিটি সনিয়ার

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here