দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ প্রতিবছর ৩০ সেপ্টেম্বর দেশ থেকে সরকারিভাবে বিদায় নেয় বর্ষা। কিন্তু কয়েকদিন আগে বঙ্গোপসাগরের উত্তর-পূর্বে সৃষ্ট হয়েছে নিম্নচাপ অঞ্চল। এর ফলেই উত্তর-পশ্চিম ভারত থেকে বর্ষা বিদায় নিতে দেরি করছে। রবিবার ভারতীয় আবহাওয়া দফতর থেকে একথা জানানো হয়েছে।
ন্যাশনাল ওয়েদার ফোরকাস্টিং সেন্টারের প্রধান কে সাথী দেবী রবিবার বলেন, আগামী ২৪ ঘণ্টায় নিম্নচাপ এলাকাটি আরও স্পষ্টভাবে দেখা যাবে। সম্ভবত শীঘ্রই পশ্চিম-উত্তর পশ্চিম দিকে সরতে শুরু করবে নিম্নচাপ। এর ফলে উত্তর-পশ্চিম ভারতে বাতাসে বিপুল পরিমাণে জলীয় বাষ্প প্রবেশ করবে। এর ফলে আগামী দু’দিনে বর্ষা বিদায় নেওয়ার কোনও লক্ষণ দেখা যাবে না।
সাধারণত উত্তর-পশ্চিম ভারত থেকে প্রতি বছর ১৭ সেপ্টেম্বর বিদায় নিতে শুরু করে বর্ষা। ১৫ অক্টোবরের মধ্যে বর্ষা পুরোপুরি বিদায় নেয়। গতবছর পর্যন্ত ধরে নেওয়া হত, ১ সেপ্টেম্বর থেকে বর্ষা বিদায় নিতে শুরু করে। তার বিদায় নেওয়া সম্পূর্ণ হয় ১৫ অক্টোবরের মধ্যে। কিন্তু গত এপ্রিলে আবহাওয়া দফতর বর্ষার শুরু ও বিদায় নেওয়ার নতুন দিনক্ষণ জানিয়েছে। ১৯৬১ থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে বর্ষা শুরু হওয়ার দিনক্ষণ হিসাব করা হয়েছে। ১৯৭১ থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে বর্ষা বিদায় নেওয়ার দিনক্ষণ স্থির করা হয়েছে।
গতবছর ১ সেপ্টেম্বরের পরিবর্তে ৯ অক্টোবর দেশ থেকে বর্ষা বিদায় নিতে শুরু করে। অন্যাবারের চেয়ে বেশি সময় ধরে দেশে বর্ষা চলার ফলে মহারাষ্ট্র, কেরল এবং বিহারে বন্যা দেখা দেয়। বর্ষা বিদায় নেয় ১৭ অক্টোবর।
আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, বঙ্গোপসাগরে সৃষ্টি হওয়া নিম্নচাপের জন্য সোমবার ওড়িশায় ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টিপাত হতে পারে। এছাড়া গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গ, ঝাড়খণ্ড এবং বিহারেও ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। সোমবার অন্ধ্রের উপকূলবর্তী এলাকা, পুদুচেরির ইয়ানাম এবং তেলঙ্গানার রয়ালসীমায় ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে।
গত সেপ্টেম্বরে দেশে বৃষ্টির গড় ঘাটতি ছিল ১২.৫ শতাংশ। উত্তর পশ্চিম ভারতে ঘাটতি ছিল ৫৩.৯ শতাংশ, মধ্যভারতে ঘাটতি ছিল ৩১.৪ শতাংশ এবং উত্তর পূর্ব ভারতে ঘাটতি ছিল ৪.৪ শতাংশ। অন্যদিকে ১ জুন থেকে উপদ্বীপীয় অঞ্চলে এবার ৭৭.৪ শতাংশ বেশি বৃষ্টিপাত হয়েছে।