দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ ফের অসুস্থ হয়ে পড়েছেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। তাঁর পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, মহারাজ গতকাল ফের অস্বস্তি বোধ করেন। বুকে চাপ চাপ ব্যথা অনুভূত হয়। বুধবার দুপুরেও বুকে অস্বস্তি বোধ হয়। তার পরই আর ঝুঁকি না নিয়ে বুকে ব্যথা নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হলেন তিনি। ইএম বাইপাসের ধারে একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে তাঁকে। পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার রাত থেকেই বুকে ব্যথা অনুভব করেন বিসিসিআই প্রেসিডেন্ট। বুধবার দুপুরে ব্যথা বাড়লে কোনও ঝুঁকি না নিয়ে তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। গ্রিন করিডর করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় তাঁকে। তবে এই মুহূর্তে তাঁর শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল বলেই জানা গিয়েছে। অ্যাপোলো হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।
এ মাসের ৩ তারিখ সকালে বাড়িতে জিম করতে গিয়ে বুকে ব্যথা অনুভব করেন সৌরভ। তাঁকে তৎক্ষণাৎ উডল্যান্ড হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকরা জানিয়েছিলেন, সৌরভের মাইল্ড হার্ট অ্যাটাক হয়েছে। পরে আরও জানানো হয় যে তাঁর একটি আর্টারিতে ৯৫ শতাংশ ব্লকেজ রয়েছে। সেই সঙ্গে আরও দুটো আর্টারিতে ব্লকেজ রয়েছে।
তবে সে বার তাঁর একটি ধমনীতেই স্টেন্ট বসানো হয়েছিল। তাঁর হৃদপিণ্ডে স্টেন্ট বসিয়েছিলেন কার্ডিও সার্জেন আফতাব খান। তবে বাকি দুটো ধমনীতে স্টেন্ট বসানো বাকি ছিল। আফতাব খান অ্যাপোলো হাসপাতালের সঙ্গে যুক্ত। সম্ভবত সেই কারণেই সৌরভকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
ঠিক কী কারণে সৌরভ হৃদরোগে আক্রান্ত হয়েছিলেন, সেই সম্পর্কে নানা তথ্য উঠে আসে সেই সময়। জানা যায়, বয়স ৫০ ছুঁইছুঁই হলেও, বিগত ৫ বছরে কোনও ডাক্তারি পরীক্ষাই করাননি সৌরভ। তার উপর মারাত্মক কাজের চাপ। দুইয়ে মিলেই ধকল সইতে পারেনি তাঁর শরীর। তবে রাজনৈতিক চাপ সহ্য করতে না পেরেই তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েছেন, এমন দাবিও উঠে আসে। সিপিএম নেতা এবং শিলিগুড়ির পুরপ্রশাসক অশোক ভট্টাচার্য হাসপাতালে সৌরভকে দেখে এসে বলেন, ‘‘নিজেদের স্বার্থ চরিতার্থ করতে একটি রাজনৈতিক দল সৌরভের উপর চাপ সৃষ্টি করছিল।’’ তবে এ নিয়ে সৌরভ নিজে বা গঙ্গোপাধ্যায় পরিাবারের কেউ কোনও মন্তব্য করেননি৷