প্রয়াত শুভা দত্ত ,বর্তমান সংবাদপত্রের সম্পাদক

0
793

দেশের সময় ওয়েব ডেস্কঃ সোমবার প্রয়াত হলেন ‘বর্তমান’ সংবাদপত্রের সম্পাদক শুভা দত্ত। কলকাতার এক বেসরকারি হাসপাতালে এদিন বেলা ১০ টা বেজে ৪২ মিনিটে তাঁর জীবনাবসান হয়। ২০০৮ সালে বিশিষ্ট সাংবাদিক বরুণ সেনগুপ্ত প্রয়াত হওয়ার পরে তিনি ‘বর্তমানের’ সম্পাদকের দায়িত্ব নেন।

শুভা দত্তের মৃত্যুতে শোকপ্রকাশ করে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় লিখেছেন, তাঁর বলিষ্ঠ নেতৃত্বে ‘বর্তমান’ আজ এই জায়গায় পৌঁছেছে। ‘বর্তমানের’ পাঠক ও শুভা দত্তের পরিবারের প্রতি তিনি গভীর সহানুভূতি জানান। প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি সোমেন মিত্রও শুভা দত্তের মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন। শোক প্রকাশ করেছেন বামফ্রন্টের চেয়ারম্যান বিমান বসু ও সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক সুর্যকান্ত মিশ্রও। বিমানবাবু বলেন, ‘বর্তমান’ পত্রিকার প্রতিষ্ঠাতা বরুণ সেনগুপ্তের মৃত্যুর পরে শ্রীমতি শুভা দত্ত সম্পাদক হন। তাঁর সঙ্গে আমার পরিচয় ছিল। তিনি যোগ্যতার সঙ্গে সংবাদপত্র পরিচালনা করেছেন। সূর্যকান্ত মিশ্র বলেন, শুভা দত্তের জীবনাবসানে আমি গভীর শোক জানাচ্ছি। ‘বর্তমান’-এর সব কর্মীর প্রতি আন্তরিক সমবেদনা জানাচ্ছি।

শুভা দত্তের বয়স হয়েছিল ৬৭ বছর। তাঁর আদি বাড়ি বরিশালে। পাঁচ ভাই-বোনের মধ্যে তিনি ছিলেন সবচেয়ে ছোট। তাঁর বাবা স্বর্গত নির্মলানন্দ সেনগুপ্ত। মা স্বর্গতা রানী সেনগুপ্ত। স্বামী স্বর্গত কুশল দত্ত। একসময় শুভা দত্ত মন্টেসরি স্কুলের শিক্ষয়িত্রী ছিলেন। ‘বর্তমানের’ প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক বরুণ সেনগুপ্ত ছিলেন তাঁর মেজদা। তাঁকে নিয়ে একটি বইও লিখেছিলেন শুভা দত্ত। বইয়ের নাম ‘মেজদা’।

একসময় শুভা দত্ত ‘বর্তমান’ প্রকাশনার মাসিক পত্রিকা ‘সুখী গৃহকোণ’ সম্পাদনা করতেন। বরুণবাবুর মৃত্যুর পরে তিনি দক্ষতার সঙ্গে ‘বর্তমান’ সংবাদপত্রটি পরিচালনা করেন।

Previous articleরেশন কার্ডে নতুন নিয়ম শুরু হচ্ছে শীঘ্র,জেনে নিন কীভাবে
Next articleছেলেকে বাঁচাতে গিয়ে দুষ্কৃতীদের গুলি মায়ের বুকে, উত্তপ্ত বীরভূমের নানুর

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here