দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ লাগামছাড়া পেট্রো পণ্যের প্রতিবাদে শনির পরে আজ রবিবার-ও পথে তৃণমূল । রাজ্যজুড়ে কর্মসূচিতে সামিল হবেন মন্ত্রী ও বিধায়করা। বাগুইআটিতে নৌকায় বসে রান্না করে বিক্ষোভ করবেন তৃণমূল কর্মীরা। রয়েছেন সৌগত রায়, অদিতি মুন্সি। চিনার পার্কে বিক্ষোভ কর্মসূচিতে অংশ নেবেন জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। বিক্ষোভে সামিল সুব্রত মুখোপাধ্যায়।
এ দিনের বিক্ষোভ প্রসঙ্গে সুব্রত মুখোপাধ্যায় বলেন, “সাধারণ মানুষের এত বড় ক্ষতি ইদানীং কালে হয়নি। আরব কান্ট্রিতে দাম বাড়েনি, যারা কেনে, সেই সব দেশে দাম বাড়েনি। আমাদের দেশে কেন্দ্রীয় সরকার আকাশছোঁয়া দাম বাড়িয়েছে। গ্যাস, পেট্রোলের দাম বাড়িয়ে সাধারণ মানুষের ঘাড়ে কোপ ফেলেছে। রাজ্য একটা সামান্য টাকা নেয়। সেই টাকাটা জ্যোতিবাবুরা করে গিয়েছেন। সেটা সামান্যই। তার জন্য তো দাম বাড়েনি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কি বলেছেন, দাম বাড়িয়ে টাকা নেও?” সুব্রতবাবুর সাফ কথা, “পশ্চিমবঙ্গে হারের কারণে পেট্রোলের দাম বাড়িয়ে শোধ তুলছে কেন্দ্র।”
শনিবারের মতো আজও রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে প্রতিবাদ কর্মসূচি পালন করছেন তৃণমূল কর্মীরা। ব্লক স্তরেও চলছে বিক্ষোভ কর্মসূচি। রাজ্যে লাগামছাড়া পেট্রো পণ্যের প্রতিবাদে পথে নামার ডাক আগেই দিয়েছিল তৃণমূল। শনিবার উত্তরবঙ্গেও বিক্ষোভ কর্মসূচিতে সামিল হন তৃণমূল কর্মীরা।
কোথাও গরুর গাড়িতে, কোথাও সাইকেল চালিয়ে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন মন্ত্রী বিধায়করা। সেঞ্চুরি পেরিয়েছে পেট্রোল। পাল্লা দিয়ে বেড়েছে ডিজেলের দামও। পরিস্থিতিতে হুঁশিয়ারি দিয়েছে ওয়েস্ট বেঙ্গল পেট্রোলিয়াম ডিলার্স অ্যাসোসিয়েশন। তারা জানিয়েছে, আধ ঘণ্টা পেট্রোল পাম্প বন্ধ থাকবে।
পেট্রোলের দাম বৃদ্ধিতে ক্ষোভ বাড়ছে তৃণমূলের। বিক্ষোভও চলছে চতুর্দিকে। এদিকে, বিধি নিষেধ শিথিল হয়ে যাওয়ার পর বাস চালানোর নির্দেশ দিলেও পথে দেখা মিলছে না বেসরকারি বাসের। জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধিতে ভাড়া বাড়ানোর দাবি তুলেছেন বাস মালিকরা। আর তা মানাতেই পথে অমিল বাস।
কেন্দ্রীয় পেট্রোলিয়ামমন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান সম্প্রতি বলেছেন, একবছরে ৩৫ হাজার কোটি টাকা খরচ করা হয়েছে করোনার ভ্যাকসিনের জন্য। এই পরিস্থিতিতে কল্যাণমূলক প্রকল্পের জন্য অর্থ সঞ্চয় করা হচ্ছে।
অন্যদিকে, বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ দাবি তুলেছেন, ” পেট্রোল-ডিজেলে নিজেদের অংশের কর কমিয়ে তো সাধারণ মানুষকে সুরাহা দিতে পারে রাজ্য সরকার।” তার পাল্টা পরিবহণ মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমের দাবি, পেট্রো পণ্যের উপরে কিয়দংশ করই নেয় কেন্দ্র। তারাই রাজ্যের অংশ ঠিক করে দেয়।