দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ ফোনে আড়ি পাতা নিয়ে সারা দেশ তোলপাড়। আমলা, মন্ত্রী, সাংবাদিক, পুলিশ– কার ফোনে না আড়ি পাতা হয়েছে ! এবার সেই তালিকায় যাঁদের নাম সামনে এল, তাতে রীতিমতো চমকে উঠতে হয়। তথ্য বলছে, পেগাসাসের তালিকায় ছিল প্রাক্তন সিবিআই অধিকর্তা অলোক বর্মার নম্বরও।
শুধু তাই নয়, অনিল অম্বানিরও ফোন নম্বরও মিলেছে আড়িপাতার তালিকায়। পাশাপাশি, রিলায়্যান্স গোষ্ঠীর অন্যতম কর্তা টোনি জেসুদাসন, রাফাল-নির্মাতা ফরাসি সংস্থা দাসোর ভারতীয় কর্তা বেঙ্কট রাও পোসিনা ও বোয়িংয়ের মতো আরও কয়েকটি প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম নির্মাতার প্রধানদের ফোনও নিশানা করা হয়েছিল।
তদন্ত রিপোর্ট বলছে, তিন বছর আগেই তৎকালীন সিবিআই ডিরেক্টর অলোক বর্মার ফোন পেগাসাসের মাধ্যমে হ্যাক করার তালিকায় এসেছিল। অলোক বর্মার নামে থাকা ৩টি নম্বরই ছিল এই স্পাইওয়্যারের টার্গেটে। বিআই অধিকর্তার স্ত্রী ও তাঁর পুত্রবধূর নম্বরও ছিল টার্গেটের তালিকায়। সেই সঙ্গে সিবিআই বিশেষ অধিকর্তা রাকেশ আস্থানার নম্বরও ছিল তালিকায়।
বৃহস্পতিবার আরও জানা গিয়েছে, তিব্বতি ধর্মগুরু দলাই লামার ঘনিষ্ঠ বৃত্তের একাধিক ব্যক্তির ফোনও নিশানায় ছিল। এর মধ্যে সপ্তদশ কর্মপা ওগিয়েন ট্রিনলে দোর্জি, দিল্লিতে দলাই লামার দীর্ঘদিনের দূত টেমপা সেরিং, পরবর্তী দলাই লামা খোঁজার দায়িত্বপ্রাপ্ত ট্রাস্টের প্রধান সমধং রিনপোচে, তিব্বতি সরকারের প্রাক্তন প্রধান লোবসাং সাংগে-সহ দলাই লামার বেশ কয়েক জন
ঘনিষ্ঠ রয়েছেন।
প্রসঙ্গত, ২০১৮ সালে মেয়াদ শেষের তিন মাস আগেই সরানো হয়েছিল অলোক বর্মাকে। অনেকেই মনে করেন, রাফাল চুক্তিতে তিনি সে সময়ে তদন্তের নির্দেশ দিতে পারেন বলে মোদী সরকারের অন্দরমহলে আশঙ্কা তৈরি হয়েছিল। তাই বর্মাকে সরিয়ে প্রধানমন্ত্রীর আস্থাভাজন বলে পরিচিত রাকেশ আস্থানাকে সিবিআই শীর্ষ পদে বসানোর চেষ্টা হয়েছিল।
সংঘাত বাড়তে থাকে, আস্থানার বিরুদ্ধে তদন্তের নির্দেশ দেন অলোক বর্মা। তার পরেই তাঁকে অপসারণ করা হয়। এই ঘটনার পরেই অলোক বর্মা সপরিবার পেগাসাসের নজরদারির অধীনে ঢুকে পড়েন বলে দাবি করা হয়েছে সূত্রের তরফে।