পুজো আসছে, অর্ডার নেই বড় বাজেটের প্রতিমার!‌ বনগাঁর মৃৎশিল্পীদের বাড়ছে দুশ্চিন্তা, দেশের সময়-এর ক্যামেরায় ধরা পড়ল সেই দৃশ্য

0
995

পার্থ সারথি নন্দী: বনগাঁ:

দুর্গা পূজোর কাউন্টডাউন শুরু হয়েগেছে, তবে বড় বাজেটের প্রতিমার অর্ডার নেই এখনও! বনগাঁর পটুয়া পাড়ায় মৃৎশিল্পীদের চোখেমুখে দুশ্চিন্তার ছাপ স্পষ্ট।

মাতৃ মূর্তির সাজের উৎকর্ষতা ও রূপ লাবন্যের বহরে ও বাহারে যেন প্রতিবছরই একে অপরকে টেক্কা দেয় বনগাঁর  মৃৎশিল্পীরা । কিন্তু সাম্প্রতিক করোনা পরিস্থিতিতে এবছর বনগাঁর পটুয়া পাড়ার চিত্র টা কেমন? সেই খবর নিতে আমরা বেশ কিছু মৃৎশিল্পের কারখানায় পা রাখতেই দেশের সময় -এর ক্যামেরায় ধরা পড়ল বনগাঁ মতিগঞ্জ এলাকার শিমুলতলার  বিশিষ্ট দু’ই মৃৎ শিল্পী স্বপন ভট্টাচার্য ও প্রদীপ ভট্টাচার্য দু’টি বনেদী বাড়ীর মাতৃ মূর্তি তৈরির প্রস্তুতিতে ব্যস্ত তাঁদের কারখানায়। 

মৃৎ শিল্পী  সেন্টু  ভট্টাচার্য্য  সংবাদ মাধ্যমকে একান্ত সাক্ষাৎকারে জানালেন, এই ধরনের আকৃতিতে বড়ো ধরনের মাতৃ মূর্তি তিনি খুব কম নির্মাণ করেন, তার প্রধান কাজ মডেল ও স্ট্যাচু তৈরি করা। আমরাও তার কারখানায় বিভিন্ন মনীষীর স্ট্যাচু ও মডেল থেকে শুরু করে বিভিন্ন প্রকার শৈল্পিক কর্মকাণ্ড প্রত্যক্ষ করলাম।

 এবং আরও অন্যান্য কারখানায় মৃৎ শিল্পের খবরাখবর নিতেই  শিল্পী স্বপন ভট্টাচার্য জানালেন গতবছরে নির্মিত প্রতিমা এখনো কারখানায় পড়ে আছে ।

আবার মৃৎ শিল্পী প্রদীপ ভট্রাচার্য্য থেকে শুরু করে অনেকেই জানালেন এবছর মাতৃ মূর্তি তৈরির অর্ডার অন্যান্য বছরের তুলনায় অনেক কমেছে। তবে এখনই আশা ছাড়তে নারাজ তাঁরা, কারণ হাতে এখনও সময় আছে। এখনও প্রতিমা তৈরির অর্ডার আসবে বলে আশাবাদী তাঁরা।

শিল্পী সেন্টু ভট্টাচার্য বলেন বিভিন্ন ক্লাব থেকে শুরু করে সরকারি বহু কাজ আটকে রয়েছে করোনা পরিস্থিতির জন্য৷ মিলছে না বকেয়া টাকাও সব মিলিয়ে এক প্রকার বন্ধই হয়ে গেছে কাজ কর্ম ,তবু আশা করছি প্রশাসনের কথায় করোনা বিধি মেনে চললে হয়ত দু হাজার বাইশ সালে অর্থাৎ আগামী বছর থেকে নতুন করে কাজের গতি ফিরবে এবং সকলের সঙ্গে মৃৎ শিল্পীরাও তাঁদের স্বাভাবিক জীবনে ফিরবেন৷

দেখুন ভিডিও:

Previous articleমোদীর ছবি নয়, জাতীয় পতাকার ছবি থাক কোভিড টিকার সার্টিফিকেটে,দাবি তুললেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়
Next articleদেশের সময় ই পেপার Desher Samay e Paper

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here