দেশেরসময় ওয়েবডেস্কঃ নির্ভয়া মামলায় দোষী সাব্যস্ত মুকেশ কুমারের প্রাণভিক্ষার আর্জি খারিজ করলেন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ।
মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্টে খারিজ হয়ে যায় মুকেশ কুমারের দায়ের করা কিউরিটিভ পিটিশন। এরপরেই রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষার আবেদন করে সে। শুক্রবার সেই আর্জি রাষ্ট্রপতির কাছে পাঠিয়েছিল স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। আবেদন পাঠানোর কয়েক ঘণ্টা মধ্যেই তা খারিজ করেন দেন রাষ্ট্রপতি। মঙ্গলবার মুকেশ কুমারের পাশাপাশি খারিজ হয়ে যায় বিনয় শর্মার কিউরিটিভ পিটিশনও।
গত ৭ জানুয়ারি পাতিয়ালা হাউস কোর্ট জানিয়ে দিয়েছিল ২২ জানুয়ারি সকাল সাতটায় তিহাড় জেলে চার অভিযুক্তকে ফাঁসি দিতে হবে। ২০১২ সালের নির্ভয়া গণধর্ষণের ঘটনার সাত বছর পর এই চরম নির্দেশ ঘোষণা করে আদালত। কিন্তু ফাঁসির সাজা বহাল থাকার পর থেকেই তৈরি হয়েছে নানা আইনি জটিলতা।
দিল্লি সরকার জানিয়ে দেয়, ২২ জানুয়ারি নির্ভয়া কাণ্ডে দোষীদের ফাঁসি হচ্ছে না। কারণ খুনিদের একজন মুকেশ সিং রাষ্ট্রপতির কাছে ক্ষমাভিক্ষা চেয়েছে। যদি তা নাকচ হয়ে যায়, তাহলেও অপরাধীকে ফাঁসির ১৪ দিন আগে নোটিস দিয়ে সেকথা জানাতে হবে। তাই ২২ জানুয়ারি তাদের ফাঁসি দেওয়া যাবে না। বৃহস্পতিবার ১৬ জানুয়ারি নির্ধারিত মৃত্যুদণ্ডের দিনের ঠিক পাঁচদিন আগে, তিহার জেলের আধিকারিকরা ফাঁসির জন্য নতুন তারিখের আবেদন করেছেন। তাঁদের কথায় দোষীদের দায়ের করা প্রাণভিক্ষার আবেদনের নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা যাবে না।
২০১৭ সালে চার অপরাধীর মুক্তির আর্জি খারিজ করেছিল সুপ্রিম কোর্ট। দেশের শীর্ষ আদালত জানিয়ে দিয়েছিল, যে নৃশংসতার সঙ্গে এই অপরাধ তারা করেছে তা দেখে মনে হচ্ছে এই ঘটনা অন্য কোনও গ্রহের। এই ঘটনা গোটা সমাজকে নাড়িয়ে দিয়েছে। তাই অপরাধীদের মুক্তির আর্জির কোনও প্রশ্নই নেই। দেশের শীর্ষ আদালতের এই সিদ্ধান্তের পরেও নির্ভয়া কাণ্ডে দোষী সাব্যস্ত চারজনের ফাঁসি নিয়ে শুরু হয়েছে টালবাহানা।
চার দোষীর মৃত্যুদণ্ডের সাজা কার্যকর হতে আরও দেরি হবে বলে ইতিমধ্যেই আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন নির্ভয়ার মা আশাদেবী। তিনি বলেন, “সাত বছর ধরে বিভিন্ন আদালতে ঘুরছি। এবার বিচার চাই। দোষীদের যদি অধিকার থাকে, তাহলে আমাদেরও ন্যায় পাওয়ার অধিকার রয়েছে।”