দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ আন্তর্জাতিক নারী দিবসের পদযাত্রায় শুক্রবার দুপুরে বাউবাজার, বিবি গাঙ্গুলী স্ট্রিট হয়ে তৃণমূলের মিছিলে হেঁটেছেন মুখ্যমন্ত্রী৷ তার কিছুটা সময়ের ব্যবধানে,সেন্ট্রাল অ্যাভিনিউয়ের সদর দফতর থেকে মিছিল শুরু করে বিজেপি মহিলা মোর্চার নেত্রী লকেট চট্টোপাধ্যায়৷
আর তার পাশেই একদা মুখ্যমন্ত্রীর ঘনিষ্ট আইপিএস ভারতী ঘোষ৷ বিজেপিতে যোগদানের পর কলকাতায় দলের কর্মসূচিতে এটাই তাঁর প্রথম আত্মপ্রকাশ৷
ভোটের আগে নারী দিবসের অনুষ্টানই হয়ে উঠল বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের কাছে প্রচারের হাতিয়ার৷ বিজেপির মিছিল থেকে এদিন মুখ্যমন্ত্রীকে নিশানা করেন লকেট চট্টোপাধ্যায়৷ রাজ্যে গত সাত বছরে নারী ধর্ষনের ঘটনা বৃদ্ধি পেয়েছে বলে অভিযোগ করেন তিনি৷
তৃণমূল সরকারকে বিঁধতে তিনি হাতিয়ার করেন তিন তালাক বিল ঘিরে রাজ্যের শাসক দলের বিরোধীতাকে৷ লকেট বলেন, ‘‘মুখ্যমন্ত্রী মুখে প্রগোতী, নারী উন্নয়নের কথা বলছেন, কিন্তু কাজের বেলায় তার বিপরীত৷!’’ তাঁর প্রশ্ন, ‘‘তিন তালাক বিলের মাধ্যমে মোদী সরকার মুসলিম মহিলাদেরর প্রতি বঞ্চনা দূর করতে উদ্যোগী, কিন্তু তৃণমূল তাতে সমর্থন জানায়নি, কেন রাজনীতি করা হল?’
এদিন মুরলীধর সেন লেন থেকে বিজেপির নারী মোর্চার মিছিল যায় ধর্মতলা পর্যন্ত৷ সেখানেই হয় সভা৷ সেই সভা থেকেই বাংলায় পরিবর্তনের ডাক দেন লকেট চট্টোপাধ্যায়৷ রাজ্যের মহিলা ভোটারদের ইভিএমে তার জবাব দেওয়ার আহ্ববান করেন তিনি৷ বিজেপি নেত্রী ভারতী ঘোষ লকেটের পাশে মাথায় দলীয় পতাকা বেধে হাঁটলেও অবশ্য এদিন কোনও কথা বলেননি৷ আপাতত জঙ্গলমহলে তিনিই গেরুয়া শিবিরের তরুপের তাস৷
এয়ার স্ট্রাইক ঘিরে শাসক বিরোধী তরজা তুঙ্গে৷ বায়ু সেনার অভিযানে কত জঙ্গি নিহত তার সংখ্যা জানতে চায় বিরোধীরা৷ বিষয়টিকে দেশপ্রেমের তকমা দিয়ে প্রচারে মরিয়া মোদী-শাহ কোম্প্যানি৷ নারী দিবসের মিছিল শেষেও সামনে এল সেই প্রসঙ্গ৷ বিরোধীদের ‘দেশ বিরোধী’ বলে দেওয়ার চেষ্টা গেরুয়া নেত্রীর৷ জানাতে ভুললেন না, সেনাদের নিয়ে রাজনীতি করা হচ্ছে৷ যা বরদাস্ত করা হবে না৷
আন্তর্জাতিক নারী দিবসে মহিলাদের উন্ননের চেয়েও মিছিল সরগরম রইল রাজনৈতিক বিষয়কে কেন্দ্র করে৷