দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ পাকিস্তানের বন্ধুরা সুবিধা করতে পারেনি। ভারতের বন্ধুরাই প্রভাব বিস্তার করেছে ইউরোপীয় ইউনিয়নে। তাই সেখানে নাগরিকত্ব আইন নিয়ে ভোটাভুটি পিছিয়ে গেল। এর অর্থ ভারতের কূটনীতির জয় হয়েছে। বৃহস্পতিবার এমনই জানানো হল কেন্দ্রীয় সরকারের এক সূত্র থেকে। এদিনই ইউরোপীয় ইউনিয়নে নাগরিকত্ব আইন নিয়ে ভোটাভুটি হওয়ার কথা ছিল।
কেন্দ্রীয় সরকারের ওই সূত্রটি জানিয়েছে, ইউরোপীয় পার্লামেন্টের ব্রিটিশ সদস্য শফিক মহম্মদ ব্রেক্সিটের আগের দিন পর্যন্ত চেষ্টা চালিয়েছিলেন যাতে ভারতের বিরুদ্ধে প্রস্তাব পাশ হয়। কিন্তু তাঁর প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয়েছে। পরে দিল্লি থেকে বলা হয়, আমরা আশা করি ইউরোপীয় ইউনিয়নের শুভবুদ্ধিসম্পন্ন সদস্যরা আমাদের যুক্তি বুঝবেন। নাগরিকত্ব আইন ভারতের অভ্যন্তরীণ ব্যাপার। গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া মেনেই সেই আইন পাশ হয়েছে।
ইউরোপীয় ইউনিয়নের ৭৫১ জন সদস্যের মধ্যে ৫৬০ জন ভারতের বিরুদ্ধে একটি প্রস্তাব পেশ করেছিলেন। তাতে বলা হয়েছে, নাগরিকত্ব আইন বৈষম্যমূলক। তা মুসলিমদের বিরোধী। আন্তর্জাতিক মহলে ভারত যে অঙ্গীকার করেছে, ওই আইনে তা মান্য করা হয়নি। এই প্রস্তাবের ওপরে ভোটাভুটি হওয়ার কথা ছিল।
ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রস্তাবে আরও বলা হয়, “ভারতে জাতীয়তাবাদী মনোভাব বৃদ্ধি পাচ্ছে। তার ফলে বাড়ছে ধর্মীয় অসহিষ্ণুতা। মুসলমানদের প্রতি বৈষম্য বাড়ছে।”
জাতীয় নাগরিকপঞ্জি বা এনআরসি নিয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ইউরোপীয় পার্লামেন্ট। ভারতে অনুপ্রবেশকারীদের চিহ্নিত করার জন্যই এনআরসি করা হবে বলে স্থির হয়েছে। ইউরোপীয় পার্লামেন্টের বক্তব্য, ভারতে যে প্রক্রিয়ায় নাগরিক চিহ্নিত হতে চলেছে, তা বিপজ্জনক। তাতে অনেকে রাষ্ট্রহীন হয়ে পড়বেন। মানবিক সংকট সৃষ্টি হবে।
নাগরিকত্ব আইনের বিরুদ্ধে বিক্ষোভকারীদের ওপর পুলিশ যেভাবে ‘দমনপীড়ন’ নামিয়ে এনেছে, তাও উল্লেখ করা হয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রস্তাবে।