পার্থ সারথি নন্দী: বনগাঁ:উৎসবের শেষ লগ্নে মণ্ডপে–মণ্ডপে দর্শনার্থীদের ভিড়। ট্রেন, বাসের ভিড় সামলে প্যান্ডেলে হাজির হওয়া, তারপর প্যান্ডেলের বাইরে ঘণ্টার পর ঘণ্টা লাইনে দাঁড়িয়ে থাকা। শহরের একপ্রান্ত থেকে অন্যপ্রান্ত, এই গলি থেকে ওই গলি। হাতে সময় যে ফুরিয়ে এল। তাই ‘আর বিলম্ব নয়’। নবমী–নিশি মানে উৎসব এসে পোঁছেছে শেষ লগ্নে। আর শেষ লগ্নে উৎসব যেন তুঙ্গ ছুঁল। বাঙালির সবথেকে বড় উৎসব বলে কথা। সারা বছর এর জন্যই তো অপেক্ষা। কাজেই সে সুযোগ হাতছাড়া করতে নারাজ আট থেকে আশি। বৃহস্পতিবার নবমীতে কখন যে তাঁরা রাস্তায় নেমে পড়েছেন বলা ভারী শক্ত! দিন, দুপুর, সন্ধে? দিনভরই তো রাস্তায় দর্শনার্থীদের ভিড়। যে যাঁর মতো সামিল হয়েছেন উৎসবের জোয়ারে গা ভাসাতে। বনগাঁ উত্তর হোক বা দক্ষিণ – সব জায়গায় ভিড় দেখা গেল। কে কার থেকে এগিয়ে রয়েছে তা খুঁজে বের করার সত্যিই অসাধ্য। বরং বলা ভাল কেউই কারও থেকে কম যায় না। থিম, সাবেকি, বাড়ির পুজো- সব জায়গায় হাজির উৎসবমুখর মানুষ। বিভিন্ন প্রান্ত থেকেও মানুষ হাজির উৎসবের শহর বনগাঁয়। এত আয়োজন দেখে তারা বিস্মিত। শিমুলতলা আয়রনগেট স্পোর্টিং ক্লাব,১৫পল্লী যুবগোষ্ঠী, এগিয়েচলো সংঘ ৩নং টালিখোলা,প্রতাপগড় স্পোর্টিংক্লাব,অভিযান সংঘ, গান্ধীপল্লী.তালতলা স্পোর্টিং ক্লাব,শান্তি সংঘ,ঢাকা পাড়া,আমলা পাড়া স্পোর্টিংক্লাব, রেট পাড়া, দত্তপাড়া,বসাক পাড়া ডায়মন্ড ক্লাবের মণ্ডপে ভিড় যথারীতি অন্যান্য বছরের মতোই। বনগাঁ পুরসভা রাস্তা প্রসারিত করার উদ্যোগ নিয়েছিল, তার সুফল নিত্যযাত্রীরা তো পেলেনই, সুবিধা হল দর্শনার্থীদেরও। দিন–রাত মানুষের ভিড়। এ প্যান্ডেল থেকে ও প্যান্ডেল। দর্শনার্থীদের ভিড় সামাল দিতে সতর্ক ছিল পুলিস, প্রশাসন। যে কোনও রকম অপ্রীতিকর পরিস্থিতি মোকাবিলায় প্রস্তুত ছিল তারা।প্রতিটি মন্ডপে মণ্ডপে সেফ ড্রাইভ,সেভ লাইফের প্রচারের মাধ্যমে সতর্কিকরন এবার বড়সড় দুর্ঘটনা থেকেও সাধারন মানুষকে রক্ষা করেছে৷এক কথায় এবারের দুর্গোউৎসবে রশিক বাঙালি নবমীর নিশিতে জনস্রোতে ভাসল উৎসবের শহর বনগাঁ।ঐতিহ্য ধরে রাখল, সত:স্ফূর্ত উল্লাস ও আনন্দে৷