দেশের সময়ওয়েবডেস্কঃ আর কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই বজ্র বিদ্যুৎ সহ বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা শহরে। দার্জিলিংয়ের পর এবার ভিজতে পারে মহানগরী। এমনটাই জানাল আলিপুর আবহাওয়া দফতর।
আগামী দুদিনও কলকাতায় বৃষ্টির সম্ভাবনার কথা জানিয়েছে হাওয়া অফিস। রাজ্যের বেশ কিছু জায়গায় রয়েছে বৃষ্টির সম্ভাবনা। শুক্রবার শহরের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা থাকবে ৩৭ ডিগ্রির কাছাকাছি। সর্বনিম্ন তাপমাত্রা থাকার কথা ২৭ ডিগ্রি। যদিও বৃষ্টিপাতের জেরে শনিবার এক ডিগ্রি কমে ২৬ ডিগ্রি ছুঁতে পারে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা। অর্থাৎ ছাতা মাথায়ই ভোট বুথে যেতে হবে বঙ্গবাসীকে।
উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার শহরের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা স্বাভাবিক। এদিকে সর্বনিম্ন তাপমাত্রার পারদ চড়েছিল ২৭ ডিগ্রিতে। যা স্বাভাবিকের তুলনায় এক ডিগ্রি বেশি। বাতাসে জলীয় বাষ্পের সর্বোচ্চ এবং সর্বনিম্ন পরিমাণ ছিল যথাক্রমে ৭৩ ও ৫৫ শতাংশ।
বেশ কিছুদিন ধরেই গরমে পুড়ছে বাংলা। হাঁসফাঁস অবস্থা কলকাতার। এমন আবহে নতুন বছরে খানিকটা স্বস্তির বার্তা শুনিয়েছে আবহাওয়া দফতর। শহর এবং শহরতলি সহ উত্তরবঙ্গের জেলাগুলিতেও বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টির পূর্বাভাসজারি করা হয়েছে। আজ থেকে আগামী মঙ্গলবার পর্যন্ত বৃষ্টি হতে পারে দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি, কালিম্পং, আলিপুরদুয়ার, কোচবিহার, দুই দিনাজপুরে, মালদায়।
চলতি সপ্তাহেই ভিজেছে আন্দামান নিকোবর দ্বীপপুঞ্জ। হালকা বৃষ্টিপাত হয়েছে সিকিমের উত্তরভাগে। উত্তরবঙ্গেও শিলাবৃষ্টি হয়েছে। পাশাপাশি মেদিনীপুরেও বিক্ষিপ্ত বৃষ্টিপাতের চিত্র দেখা গিয়েছে। যদিও এই বৃষ্টির জেরে গরম খুব একটা কমছে না, সে কথা জানিয়ে দিয়েছেন আবহাওয়াবিদরা। বরং ১২১ বছরে রেকর্ড গরমের সাক্ষী থাকবে ২০২১। এমনটাই জানিয়েছে মৌসম বিভাগ।
মার্চ এবং এপ্রিলের চিত্র থেকেও তা পরিস্কার। উত্তরোত্তর তাপমাত্রা বাড়বে, এ কথা আগেই জানিয়ে দিয়েছিল মৌসম ভবন। ২০০৪ এবং ২০১০ সালে এহেন তপ্ত গ্রীষ্মের সাক্ষী থেকেছে দেশ। আবার সেই চিত্রের পুনরাবৃত্তি ঘটল এই বছর। কলকাতা সহ দেশের বেশ কিছু শহরের তাপমাত্রা মার্চেই ৩২-৩৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছুঁয়েছিল। পাশাপাশি দেশের বিভিন্ন স্থানে তাপপ্রবাহ বইতে শুরু করেছে গত মাস থেকেই।
রাজস্থান ২৯-৩১ মার্চ পর্যন্ত তাপপ্রবাহের সাক্ষী থেকেছে। পূর্ব রাজস্থানে লু বইতে দেখা গিয়েছে ৩০-৩১ মার্চ। গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গ সহ ওড়িশা, অন্ধ্র প্রদেশের উপকূল এলাকা, তামিনাড়ুতে তাপপ্রবাহ বইতে শুরু করেছিল ৩০ মার্চ থেকে।