দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ ভারত যেন প্রতিদিনই নিত্য নতুন রেকর্ড তৈরি করছে আক্রান্ত ও মৃতের পরিসংখ্যানে। এবার চার হাজারের গণ্ডি টপকে গেল দৈনিক মৃত্যুর সংখ্যা। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের বুলেটিন অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় ৪১৮৭ জনের মৃত্যু হয়েছে দেশে। একদিনে নতুন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৪ লাখ ১ হাজার ৭৮ জন।
ক্রমশই উদ্বেগ বাড়াচ্ছে দেশে দৈনিক মৃত্যুর পরিসংখ্যান। আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে পাল্লা দিয়েই বাড়ছে মৃত্যু। একাধিক রাজ্যে ইতিমধ্যেই রাজি করা হয়েছে সম্পূর্ণ লকডাউন। কোথাও কোথাও জারি হয়েছে আংশিক বিধিনিষেধ। তা সত্ত্বেও থামানো যাচ্ছে না মৃত্যুমিছিল। অক্সিজেনের আকাল, হাসপাতালে বেডের হাহাকার বেড়েই চলেছে দেশে। এমত অবস্থায় দেশে পূর্ণ লকডাউন চাইছেন বিশেষজ্ঞরা। করোনার শৃঙ্খল ভাঙতে নূণ্যতম ১৪ দিনের সময় চাইছেন চিকিৎসকরা। হাসপাতালগুলির উপর থেকে চাপ না কমালে অবস্থা আরও ভয়াবহ হয়ে ওঠার আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন তাঁরা।
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, এই মুহূর্তে দেশে চিকিৎসাধীন করোনা রোগীর সংখ্যা ৩৭ লাখ ২৩ হাজার ৪৪৬ জন। এখনও পর্যন্ত দেশে করোনায় মৃত্যু হয়েছে ২ লাখ ৩৮ হাজার ২৭০ জনের। এদিকে, আশার আলো দেখাচ্ছেন কোভিডজয়ীরা। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনাকে জয় করেছেন ৩ লাখ ১৮ হাজার ৬০৯ জন। এখনও পর্যন্ত দেশে সুস্থ হয়ে উটেছেন ১ কোটি ৭৯ লাখ ৩০ হাজার ৯৬০ জন। এর মধ্যেই আই আইটি হায়দরাবাদের গবেষক এম বিদ্যাসাগরের অনুমান কপালে চিন্তার ভাঁজ ফেলেছে চিকিৎসকদের। যদিও গবেষকের গাণতিক মডেল অনুযায়ী মে মাসের পর থেকেই দেশের করোনা গ্রাফ নামতে শুরু করবে। তবে, ভিন্ন ভিন্ন রাজ্যে আলাদা আলাদা সময় সংক্রমণ শিখরে পৌঁছবে বলেও জানিয়েছেন তিনি। প্রতিটি রাজ্যে সংক্রমণ বৃদ্ধির পিছনে আলাদা কারণ রয়েছে বলেই মত এম বিদ্যাসাগরের।
করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে কাঁপছে গোটা দেশ। এই পরিস্থিতিতে ফের প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি লিখে সরকারের সমালোচনায় মুখর হলেন প্রাক্তন কংগ্রেস সভাপতি বাহুল গান্ধী৷ মোদীকে চিঠিতে রাহুল লিখেছেন, ‘করোনা পরিস্থিতি সামলাতে সরকারের ব্যর্থতা দেশকে ফের অবশ্যম্ভাবী লকডাউনের দিকে ঠেলে দিচ্ছে।’