দেশের সময় ওযেবডেস্কঃ পর গুলি চলল দিল্লির রোহিনী আদালতে। দিল্লির আদালত চত্বরে দুষ্কৃতীদের গুলিতে নিহত হওয়া অন্য দুষ্কৃতী বা কুখ্যাত গ্যাংস্টার জিতেন্দ্র মান ওরফে গোগী আসলে কে? কেনই বা তাকে খুন করতে এই রকম মারাত্মক হামলা চালাল অন্য দলের দুষ্কৃতীরা?
শুনানির জন্য এসেছিল গ্যাংস্টার জিতেন্দ্র গোগী। সূত্রের খবর, গুলিতে ঝাঁঝরা করে দেওয়া হয়েছে তাকে। আরও তিন আসামিও গুলিতে নিহত। জখম অনেক।দিল্লি পুলিশের স্পেশাল সেল জানাচ্ছে, খুন, জখম সহ একাধিক মামলায় জড়িত জিতেন্দ্র গোগী। দিল্লি এলাকার ত্রাস ছিল একসময়। এ বছর এপ্রিল মাসে তাকে গ্রেফতার করে দিল্লি পুলিশের অপরাধ দমন শাখা। তারপর থেকে জেলেই বন্দি ছিল গোগী। শুনানির সময় তাকে আদালতে হাজির করা হত। শুক্রবার রোহিনী কোর্টে তাকে একটি খুনের মামলার শুনানির জন্য নিয়ে আসা হয়েছিল। কিন্তু কোর্ট রুমে ঢোকার আগেই আদালত চত্বরে আচমকা গুলি বৃষ্টি শুরু হয়। পর পর গুলিতে ঝাঁঝরা হয়ে যায় গোগী। আরও তিন জন লুটিয়ে পড়েন। তাঁদের হাসপাতালে নিয়ে গেলে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়। গুলি লেগে জখমও হয়েছেন অনেকে।
Shoot out in Rohini Court (Source of the Video: Unknown)
— Bar & Bench (@barandbench) September 24, 2021
Gangster and Assailant shot dead. pic.twitter.com/bczYGowctr
গ্যাংস্টার জিতেন্দ্র গোগীর বিরোধী দল গুলি চালিয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে অনুমান পুলিশের। গ্যাংস্টার দলগুলির মধ্যে অশান্তি লেগেই থাকে। তার পর গোগী জেলের ভেতরে বসেই বিভিন্ন নাশকতামূলক কাজের ছক কষত বলেও খবর পেয়েছে পুলিশ।রোহিনীর ডিসিপি প্রণব তয়াল বলেছেন, ২০১০ সালে বাবার মৃত্যু পরে অপরাধমূলক কাজকর্মে জড়িয়ে পড়েছিল জিতেন্দ্র গোগী। ওই বছরই সেপ্টেম্বরে প্রবীন নামে এক যুবককে খুন করে। দিল্লি ইউনিভার্সিটিতে হামলা চালানোর অভিযোগও উঠেছিল গোগী ও তার দলবলের বিরুদ্ধে। পরের বছর আরও দুটি খুন করে জেলে যায় গোগী। এখনও অবধি ১৯টি খুন, তোলাবাজি, অপহরণ, ডাকাতি সহ একাধিক অপরাধমূলক ঘটনায় নাম জড়িয়েছে জিতেন্দ্র গোগীর। তার বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির নানা ধারায় মামলাও চলছে।
Rohini Shootout – #rohinishootout pic.twitter.com/AdjL89NIhk
— Bar & Bench (@barandbench) September 24, 2021
গুলি চলার সেই ভিডিয়ো প্রকাশ্যে এসেছে। সেখানে দেখা যাচ্ছে, বন্দুক উঁচিয়ে ছুটে যাচ্ছে পুলিশ। একটি ঘরের ভিতরে যে তাণ্ডব চলছে, ভিডিয়োতে তা স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে। ওই ঘরেই গোগীর উপর হামলা হয়। পাল্টা পুলিশের গুলিতে নিহত হয় দুই হামলাকারী। ভরা আদালতে তখন রক্তারক্তি কাণ্ড। যা দেখে শিউরে উঠেছেন প্রত্যক্ষদর্শীরাও।
রোহিনীর ডিসিপি প্রণব তয়াল বলেছেন, ২০১০ সালে বাবার মৃত্যু পরে অপরাধমূলক কাজকর্মে জড়িয়ে পড়েছিল জিতেন্দ্র গোগী। ওই বছরই সেপ্টেম্বরে প্রবীন নামে এক যুবককে খুন করে। দিল্লি ইউনিভার্সিটিতে হামলা চালানোর অভিযোগও উঠেছিল গোগী ও তার দলবলের বিরুদ্ধে। পরের বছর আরও দুটি খুন করে জেলে যায় গোগী। এখনও অবধি ১৯টি খুন, তোলাবাজি, অপহরণ, ডাকাতি সহ একাধিক অপরাধমূলক ঘটনায় নাম জড়িয়েছে জিতেন্দ্র গোগীর। তার বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির নানা ধারায় মামলাও চলছে। এদিনের ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ৷