দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ হিংসা থামাতে উত্তর-পূর্ব দিল্লির চারটি থানা এলাকায় দেখামাত্র গুলির নির্দেশ জারি করল পুলিশ। শুধু তাই নয়, সিরিপিএফের ডিরেক্টর জেনারেল (ট্রেনিং) সচ্চিদানন্দ শ্রীবাস্তবকে মঙ্গলবার রাতেই দিল্লি পুলিশের স্পেশাল কমিশনার পদে নিয়োগ করেছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। নর্থ ব্লক সূত্রের দাবি, রাতেই উত্তর-পূর্ব দিল্লিতে চিরুণি তল্লাশি ও বড় অভিযান চালাতে পারে পুলিশের বিশাল বাহিনী।
গত তিন ধরে দিল্লিতে গোষ্ঠী সংঘর্ষে ইতিমধ্যেই এক জন পুলিশ কর্মী সহ মোট ১৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। আহত প্রায় দেড়শ জন। তার মধ্যে একটি শিশুও রয়েছে। সব থেকে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে দিল্লির উত্তর-পূর্ব এলাকা। যেখানে বাইরে থেকে লোক ঢুকেও তাণ্ডব চালিয়েছে বলে অভিযোগ। জাফরাবাদ, মৌজপুর, ভজনপুরায় মঙ্গলবারও আগুন জ্বলেছে। এমনকি উত্তর-পূর্ব দিল্লি থেকে সেই উত্তেজনা রাজধানী শহরের অন্যত্র ছড়িয়ে পড়ারও আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। আর এ সবই হয়েছে গত দুদিন ধরে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ভারত তথা নয়াদিল্লি সফর কালে।
While police denies "shoot at sight" orders, here is a cop announcing that people should remain indoors and that they have shoot at sight orders from authorities. pic.twitter.com/KL3caDoWQR
— Ananya Bhardwaj (@BhardwajAnanya) February 25, 2020
কিন্তু তাৎপর্যপূর্ণ হল, মঙ্গলবার রাতে রাইসিনা পাহাড়ে রাষ্ট্রপতি ভবনে নৈশভোজের পর মার্কিন প্রেসিডেন্ট বিমানে উঠতেই দিল্লিতে পুলিশি অ্যাকশন তীব্র হয়ে ওঠে। গো়ড়ায় দেখামাত্র গুলি চালনার কথা পুলিশের হেড কোয়ার্টার থেকে ঘোষণা করা হয়নি। কিন্তু দেখা যায় উত্তর-পূর্ব জেলায় যমুনা বিহারের পুলিশ সুপার মাইকে সে কথা ঘোষণা করছেন। পরে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে শ্যুট অ্যাট সাইটের নির্দেশের কথা স্বীকার করে নিয়েছে পুলিশ।
সেই সঙ্গে আরও দেখা গিয়েছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহের ঘনিষ্ঠ সর্বভারতীয় বিজেপির সংগঠনের দায়িত্বপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক বি এল সন্তোষ টুইট করে জানিয়েছেন, দিল্লিতে চারটি এলাকায় দেখামাত্র গুলির নির্দেশ জারি হয়েছে। সেই সঙ্গে তিনি টুইটে আরও লিখেছেন জাফরাবাদ মেট্রো স্টেশন এলাকা পুলিশ খালি করে দিয়েছে। আইনের শাসন কাকে বলে তা এবার বোঝানো হবে।
মঙ্গলবার রাতে বড় পুলিশি অভিযান তথা অপারেশনের ব্যাপারে বি এল সন্তোষের কথাতেও ইঙ্গিত রয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। কারণ, কেন্দ্রে শাসক দলের শীর্ষ সারির নেতা তিনি।
অন্যদিকে দিল্লির সঙ্গে হরিয়ানা ও উত্তরপ্রদেশের বর্ডারও রাতে সিল করে দেওয়া হয়েছে। যাতে বাইরে থেকে শহরে কেউ ঢুকতে না পারে। তা ছাড়া দিল্লি লাগোয়া উত্তরপ্রদেশের নয়ডাতেও কিছু এলাকায় কার্ফু জারি করা হয়েছে।