দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ শুক্রবারই জেএনইউ-এর প্রাক্তন ছাত্রনেতা কানহাইয়া কুমারের বিরুদ্ধে দেশদ্রোহিতার মামলা করার অনুমতি দিয়েছে দিল্লি সরকার। এরপরে কানহাইয়া কুমার টুইটারে লেখেন, ধন্যবাদ। আমার বিরুদ্ধে মামলা যেন ফাস্ট ট্র্যাক কোর্টে হয়। বিচার টিভিতে না হয়ে যেন কোর্টে হয়।
কানহাইয়া কুমার লিখেছেন, “আমার বিরুদ্ধে মামলা করার অনুমতি দেওয়ার জন্য দিল্লি সরকারকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি।
পুলিশ ও সরকারি অফিসারদের কাছে আমার আর্জি, আমার বিরুদ্ধে যেন দ্রুত বিচার হয়। টিভিতে নয়, কোর্টেই যেন আমার মামলার বিচার হয়।” শেষে তিনি লিখেছেন, “সত্যমেব জয়তে”। তাঁর অভিযোগ, অনেক সময় রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে দেশদ্রোহিতার মামলা করা হয়।
সংসদ ভবনে হামলায় অভিযুক্ত আফজল গুরুর মৃত্যুদিনে জেএনইউ চত্বরে সভা হয়েছিল কানহাইয়া কুমারের নেতৃত্বে। অভিযোগ, সেই সভায় দেশবিরোধী স্লোগান দেওয়া হয়েছিল। ২০১৬ সালের ওই ঘটনায় কানহাইয়া কুমারের বিরুদ্ধে মামলা করার জন্য দিল্লি সরকারের কাছে অনুমতি চেয়েছিল পুলিশ। গত সপ্তাহে কেজরিওয়াল সরকার অনুমতি দিয়েছে।
২০১৯ সালের ১৪ জানুয়ারি পুলিশ কানহাইয়া কুমারের বিরুদ্ধে মামলা করতে চেয়ে আবেদন করে। দীর্ঘদিন সরকার অনুমতি দেয়নি। সম্প্রতি আদালত পুলিশকে বলে, তাড়াতাড়ি অনুমতি দেওয়ার জন্য আপ সরকারকে চিঠি দিন। সেইমতো চিঠি দেয় দিল্লি পুলিশ। তারপরেই দিল্লি সরকার অনুমতি দিয়েছে।
জেএনইউয়ের ঘটনায় এক বছর আগে চার্জশিট পেশ করে পুলিশ। তা ছিল ১২০০ পাতার। তাতে কানহাইয়া কুমার বাদে জেএনইউয়ের আরও দুই প্রাক্তন ছাত্রনেতা উমর খালিদ ও অনির্বাণ ভট্টাচার্যের নাম করা হয়। আদালত সেই চার্জশিট গ্রাহ্য করেনি। ২০১৯ সালের ৬ ফেব্রুয়ারি আদালত পুলিশকে বলে, চার্জশিট পেশের আগে প্রয়োজনীয় অনুমতি নিতে হবে। গত সপ্তাহে আদালত বলে, অনুমতি দেওয়ার ব্যাপারে কর্তৃপক্ষ অনির্দিষ্টকাল দেরি করতে পারে না। তারপর মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সত্যেন্দ্র জৈনকে দ্রুত সিদ্ধান্ত নিতে বলেন।
দিল্লির বিজেপি নেতা মনোজ তেওয়ারি সরকারের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন। সেই সঙ্গে কটাক্ষ করেছেন কেজরিওয়ালকে। তিনি বলেন, সম্ভবত দেশের সাম্প্রতিক রাজনৈতিক পরিস্থিতি মাথায় রেখে মুখ্যমন্ত্রী কেজরিওয়াল কানহাইয়া কুমারের বিরুদ্ধে মামলা করার অনুমতি দিয়েছেন। আমরা অনেকদিন ধরে এই দাবি করে আসছিলাম। আইন আইনের পথে চলবে।