দেশের সময়ওয়েবডেস্কঃ সিউড়িতে বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের দলীয় কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করতে যাওয়ার পথে কর্মী সমর্থকদের উপর হামলার অভিযোগ। ঘটনাটি ঘটেছে বোলপুর থানার নানুর বিধানসভার শিমুলিয়া গ্রামে।
হাইলাইটস
- বোলপুরের শিমুলিয়ার কাছে গুলিবিদ্ধ ২ বিজেপি কর্মী
- দিলীপ ঘোষের সভায় যাওয়ার পথে গুলি
- দু’জনেরই পাঁজরে গুলি লাগে
- অভিযোগ ওঠে তৃণমূলের দিকে
- বিজেপির গোষ্ঠীদ্বন্দ্বেই গুলি, দাবি শাসকদলের
বিজেপির দাবি, তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা এ হামলা করেছে। ঘটনায় বোলপুর মণ্ডলের সভাপতি অভিজিৎ মণ্ডল গুলিবিদ্ধ হয়ে বোলপুর সিয়ান হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। ঘটনায় আরও এক বিজেপি কর্মী বাপি মাঝি নিখোঁজ বলে দাবি তাঁদের। মারপিটের ঘটনায় বেশ কয়েক জন জখম হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। যদিও তৃণমূল কংগ্রেস তাদের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ অস্বীকার করেছে। এলাকা থমথমে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে বলে পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে।
বিজেপির একটি সূত্রে খবর, বুধবার দুপুরে সিউড়ি জেলা স্কুল মাঠে দিলীপ ঘোষের রাজনৈতিক সভা ছিল। সভাশেষে রাজ্য বিজেপি প্রধানের নেতৃত্বে একটি মিছিল বেরোনোর কথা ছিলি। নিজের বাইকে চেপে সেই কর্মসূচিতে যোগ দিতে যাচ্ছিলেন অভিজিত্ মণ্ডল নামে এক বিজেপি কর্মী। বাইকের পিছনে বসেছিলেন পদ্ম শিবিরের আর এক কর্মীও। শিঙ্গি থেকে সিউড়ি রওনা হওয়ার পথে বোলপুর থানা এলাকার শিমুলিয়ার কাছে তাঁরা অতর্কিত হামলার মুখে পড়েন। তাঁদের বাইক লক্ষ্য করে গুলি চালানো হয়। দু’জনেরই পাঁজরে গুলি লেগেছে। স্থানীয় লোকজনই আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যান। এই দুই আক্রান্ত স্থানীয় সিয়ান হাসপাতালে ভর্তি। বিজেপির অভিযোগ, দিলীপ ঘোষের সভা ভণ্ডুল করতে খয়রাশোল-শিমুলিয়া রাস্তার উপর বিজেপি কর্মীদের বেশ কয়েকটি বাস আটকে দেওয়া হয়েছিল। তৃণমূল কর্মীদের উপর বিজেপির লোকজন পালটা হামলা চালিয়েছে বলেও অভিযোগে জানা গিয়েছে।
বুধবার সকালের এই ঘটনার পর দিলীপ ঘোষের প্রতিক্রিয়া, ‘সিউড়িতে এই বাধা স্বাভাবিকই ছিল। তবে এখান থেকেই শুরু হবে ঘুরে দাঁড়ানো। তৃণমূলকে বাংলা থেকে হটিয়ে বিজেপিই ক্ষমতায় আসবে।’
অভিযোগ উড়িয়ে জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের কো-অর্ডিনেটর অভিজিত্ সিংহ জানান, শিমুলিয়ার ঘটনার সঙ্গে তৃণমূলের কোনও যোগ নেই। গোটাটাই বিজেপির গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব। পুলিশ তদন্তের পর অভিযুক্তরা ধরা পড়লেই অভিযোগের সত্যতা স্পষ্ট হয়ে যাবে।
দিলীপ ঘোষের সভায় যাওয়ার পথে শিমুলিয়ার পাঁচ সোয়া মোড়ে আজ বিজেপি কর্মীদের ওপর কিছু সশস্ত্র দুষ্কৃতী হামলা চালায় বলে অভিযোগ। দুষ্কৃতীদের ছোড়া বন্দুকের গুলিতে স্থানীয় বিজেপি নেতা অভিজিৎ মণ্ডল জখম হন। তাঁকে বোলপুর সিয়ান হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। অন্যদিকে হামলা করতে আসা দুষ্কৃতীদের পাল্টা মারধর করে বিজেপি নেতা কর্মীরা। বেশ কিছুক্ষণ ধরে এলাকায় তুমুল বোমাবাজি চলে।
এদিনের ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় প্রবল উত্তেজনা ছড়ায়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে দিলীপ ঘোষবলেন, ‘বীরভূমে এই ঘটনা নতুন কিছু নয়।’ বিজেপির স্থানীয় এক নেতা অভিযোগের সুরে বলেন, ‘এখানে সভা করতে দেওয়া হয় না। সভায় যেতে এখানে গাড়িও দেওয়া হয় না। সভার জন্য য গাড়িগুলি বুক করা হয়েছিল, সেগুলিকে ভয় দেখিয়ে ক্যানসেল করানো হয়েছে। আর আজকে আসার সময় একই ঘটনা ঘটল।’
বুধ সকালের এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক উত্তেজনার মধ্যেই বিজেপি কর্মীরা পালটা তৃণমূলিদের উপর চড়াও হয় বলে স্থানীয় একটি সূত্রে জানা গিয়েছে।
খবর পেয়ে বোলপুরের এসডিপিও অভিষেক রায়ের নেতৃত্বে বিশাল পুলিশবাহিনী ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। গোটা এলাকায় চলছে পুলিশের টহল।