দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে অতিবৃষ্টির জেরে মৃতদের পরিবারকে ২ লক্ষ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷
নিম্নচাপের জেরে টানা বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত দক্ষিণবঙ্গের একাধিক জেলা। বন্যায় দক্ষিণবঙ্গে মৃত্যু হয়েছে ১৬ জনের। গতকালই নবান্নে রাজ্য মন্ত্রিসভার বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মৃতদের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কথা ঘোষণা করে দেন।
একাধিক ড্যাম থেকে ছাড়া হচ্ছে জল। অন্যদিকে টানা বৃষ্টিতে নদীগুলিতে বেড়ে গিয়এছে জল। ফলে জলের তলায় দক্ষিণবঙ্গের একাধিক জেলা। বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে যথেষ্ট উদ্বিগ্ন মুখ্যমন্ত্রী। রাজ্যের বিভিন্ন দপ্তরের মন্ত্রীদের বন্যা পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে বিপর্যস্ত এলাকায় যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ।
বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থদের দ্রুত ত্রাণ সামগ্রী পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা করারও নির্দেশ দেন জেলা প্রশাসনের আধিকারিকদের। লাগাতার বৃষ্টির জেরে দক্ষিণ ২৪ পরগনা, বাঁকুড়া, হাওড়া, পশ্চিম মেদিনীপুর, দুই বর্ধমান-সহ দক্ষিণবঙ্গের একাধিক জেলায় মাটির বাড়ির দেওয়াল ভেঙে অথবা বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মোট ১৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। মৃতদের পরিবারের পাশে দাঁড়াতে হবে। বন্যা দুর্গতদের ত্রাণ সামগ্রী দিয়ে সাহায্য করতে হবে। বিপর্যস্ত এলাকা গুলিতে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদেরও প্রতিনিয়ত যাওয়ার নির্দেশ দেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
জেলার মন্ত্রীদেরও গোটা বিষয়টি বিপর্যস্ত এলাকায় গিয়ে ঘুরে দেখতে হবে বলে জানান মুখ্যমন্ত্রী। প্রসঙ্গত, গতকালই পশ্চিম মেদিনীপুরের ঘাটালে বন্যা পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে যান রাজ্যের পঞ্চায়েত মন্ত্রী সুব্রত মুখার্জি। সুব্রত বাবুর সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন সেচ মন্ত্রী সৌমেন মহাপাত্র সহ জেলা প্রশাসনের আধিকারিকরা। নৌকায় চেপে ঘাটালের বন্যা পরিস্থিতি খতিয়ে দেখেন সুব্রত মুখার্জি। বন্যায় বিপর্যস্ত সাধারণ মানুষের সঙ্গে কথাও বলেন সুব্রত মুখার্জি, সৌমেন মহাপাত্ররা। দ্রুত সমস্ত বিষয় সমাধান করা হবে বলে স্থানীয় বাসিন্দাদের আশ্বাসও দেন পঞ্চায়েত মন্ত্রী সুব্রত মুখার্জি।
নবান্ন সূত্রে খবর, মুখ্যমন্ত্রী মন্ত্রিসভার বৈঠকে মন্ত্রীদের নির্দেশ দেওয়ার পর প্রশাসনিক মহলে তৎপরতা বেড়েছে। বন্যাদুর্গত এলাকায় যে সমস্ত সামগ্রীর সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন, বিপর্যয় মোকাবিলা দফতর মারফত তা পৌঁছে দেওয়ার কাজে গতি আনতে বলা হয়েছে। এক্ষেত্রে ত্রিপল, পানীয় জল, শুকনো খাবারের মতো সামগ্রী যাতে দুর্গত এলাকার মানুষদের কাছে দ্রুত পৌঁছে দেওয়া যায়, তা নিয়েও তৎপরতা বেড়েছে বলে সূত্রের খবর।