দেশের সময়ওয়েব ডেস্কঃ প্রবল দাবদাহে নাজেহাল রাজ্যবাসী। শহর কলকাতা থেকে শুরু করে গোটা রাজ্যে তাপমাত্রার পারদ বেড়েই চলেছে। শুধু তাপমাত্রা বাড়া নয়, তার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে আপেক্ষিক আর্দ্রতাও।
তার ফলে অস্বস্তি আরও বাড়ছে। গরম কমার কোনও লক্ষণ নেই। গরমের হাত থেকে বাঁচতে মানুষ এখন তাকিয়ে ঘূর্ণিঝড় ফণী’র দিকে। কিন্তু সেও তো আসতে আসতে প্রায় শুক্রবার। তার আগে তাপমাত্রা আরও বাড়বে বলেই পূর্বাভাস আলিপুর আবহাওয়া দফতরের। দক্ষিণবঙ্গের সাত জেলায় তাপপ্রবাহের সতর্কতা জারি করা হয়েছে।
মঙ্গলবার কলকাতার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা স্বাভাবিকের থেকে ৩ ডিগ্রি বেশি। তাপমাত্রা ৩৬ ডিগ্রি হলেও রিয়েল ফিল কিন্তু ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মতো। সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২৮.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বাতাসে আপেক্ষিক আর্দ্রতার পরিমাণ ৮৪ শতাংশ। অর্থাৎ শুধু প্রবল গরমই নয়, প্রবল অস্বস্তির মধ্যে শহরবাসী। আবার আকাশে মেঘের পরিমাণ মাত্র ১৩ শতাংশ। অর্থাৎ পরিষ্কার আকাশ হওয়ায় রোদের তেজ আরও বেশি পরিমাণে আসছে।
দক্ষিণবঙ্গের বাকি জেলাগুলির অবস্থা আরও খারাপ। পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, পশ্চিম মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম, বীরভূম, দুই বর্ধমানের তাপমাত্রা আরও বেশি। আবহাওয়া অফিস সূত্রে খবর, এই জেলাগুলিতে বেলা বাড়তেই লু বইছে। পিচের রাস্তা গলে যাচ্ছে। ফলে পারতপক্ষে মানুষ বাড়ির বাইরে বেরোচ্ছেন না। পুকুরের জলও শুকিয়ে যাচ্ছে। শুধু মানুষ নয়, পশু-পাখিরও অবস্থা কাহিল।
তার মধ্যেই আলিপুর হাওয়া অফিসের তরফে মঙ্গলবার দুপুরের পর থেকে দক্ষিণবঙ্গের সাত জেলা অর্থাৎ, বীরভূম, বাঁকুড়া, পুরুলিয়া, পশ্চিম মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম, পূর্ব বর্ধমান ও বর্ধমান-দুর্গাপুরে তাপপ্রবাহের সতর্কবার্তা জারি করা হয়েছে। কলকাতা শহরের দুপুরের দিকে লু বইতে পারে, এমনটাই জানানো হয়েছে আবহাওয়া দফতরের তরফে।
তবে সন্ধ্যার পর থেকে আবহাওয়া একটু আরামদায়ক হতে পারে, এমনটাই পূর্বাভাস। ঘূর্ণিঝড় ফণী যেহেতু ক্রমশ ওড়িশা উপকূলের দিকে ধেয়ে আসছে, তাই তার প্রভাবেই সন্ধ্যার পর থেকে একটু হাওয়া বইতে পারে।
ফলে সারাদিনের তীব্র জ্বালার পর একটু হলেও স্বস্তি পেতে পারেন শহরবাসী।