দেশের সময়ওয়েবডেস্কঃ ফের একবার নৃশংস গণধর্ষণ ও খুনের ঘটনা ঘটল উত্তরপ্রদেশে। ফের একবার সামনে এল নির্ভয়ার স্মৃতি। গণধর্ষণের পরে মহিলার যৌনাঙ্গে ঢুকিয়ে দেওয়া হল রড। ভেঙে দেওয়া হল তাঁর পাঁজর ও পা। যন্ত্রণায় ছটফট করতে করতে মারা গেলেন ওই মহিলা। এই ঘটনা ফের ক্ষোভের আগুন জ্বালিয়েছে সাধারণ মানুষের মধ্যে। প্রশাসনের নিন্দে শুরু হয়েছে বিভিন্ন মহল থেকে।
ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরপ্রদেশের বদায়ুঁ জেলায়। সোমবার সেখানকার উঘাইতি পুলিশ থানায় মহিলার পরিবারের তরফে একটি নিখোঁজ ডায়েরি করা হয়। সেখানে বলা হয়, রবিবার সন্ধেবেলা একটি মন্দিরে গিয়েছিলেন ওই মহিলা। তারপর থেকে আর ফেরেননি তিনি।
ঘটনার তদন্ত শুরু করে পুলিশ। জানা যায়, রবিবার গভীর রাতে স্থানীয় এক জায়গায় এক মহিলাকে রক্তাক্ত অবস্থায় কেউ বা কারা ফেলে রেখে গেছে। স্থানীয়রা তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসক। পুলিশকে স্থানীয়রা জানায়, রবিবার গভীর রাতে একটি গাড়িতে করে দু’জন এসে ওই মহিলাকে ফেলে দিয়ে পালিয়ে যায়। তারা দেখতে পেয়ে তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে আসেন।
অবশ্য পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ তুলেছে নির্যাতিতার পরিবার। তাঁদের দাবি, অনেক বলার পরেও উঘাইতি থানার অফিসার রাভেন্দ্র প্রতাপ সিং ঘটনাস্থলে পৌঁছতে দেরি করেন। ঘটনার প্রায় ১৮ ঘণ্টা পরে সোমবার বিকেলে ওই মহিলার দেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়। তিন সদস্যের এক বিশেষজ্ঞ দল এই ময়নাতদন্ত করেন। তাঁদের মধ্যে একজন মহিলা চিকিৎসকও ছিলেন।
ময়নাতদন্তের রিপোর্টে জানা গিয়েছে, মহিলার যৌনাঙ্গে মারাত্মক আঘাত লেগেছিল। সেখানে রড ঢোকানো হয়েছিল। এছাড়া তাঁরা পাঁজরের হাড় ও পা ভাঙা ছিল। সেইসঙ্গে তাঁর ফুসফুসে ভারী কিছু দিয়ে আঘাত করা হয়েছিল। তার ফলে তাঁর দেহ থেকে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ হয়েছিল। এর ফলেই ওই মহিলার মৃত্যু হয়।
এই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। মন্দিরের সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখে মন্দিরের মোহান্ত বাবা সত্যনারায়ণ, তার সেবক বেদরাম ও ড্রাইভার জশপালের বিরুদ্ধে গণধর্ষণ ও খুনের অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। তাদের খোঁজ শুরু করেছে পুলিশ। যদিও এখনও পর্যন্ত এই ঘটনায় কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ।