দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রায় প্রতিটি জনসভায় বলছেন খেলা হবে। রবিবার সকালে প্রাতঃভ্রমণে বেরিয়ে ফাইনাল হুইসেল বাজিয়ে দিতে চাইলেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। তাঁর কথায়, “খেলা শেষ হয়ে গেছে। আর দু’দফার পর সবাই ঘরে ঢুকে যাবে। নির্বাচনের প্রচার আর কেউ করবে না।”
গতকাল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন, প্রথম দফা ভোটে বিজেপির হাত পা ভেঙেছে। দ্বিতীয় দফায় কোমর ভেঙেছে। অষ্টম দফার পর আর উঠে দাঁড়াতে পারবে না। এর প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে দিলীপ ঘোষ বলেন, “যারা নিজের পায়ে হাঁটতে পারছে না তারা আবার অন্যের হাত পা ভাঙার কথা বলছে। এসব বাচ্চাদের মতো কথা। রাজনীতিতে এর কোনও গুরুত্ব নেই।
প্রথম দফায় তিরিশ আসনে ভোটের পর অমিত শাহ বলেছিলেন, বিজেপি কম করে ছাব্বিশটা আসন জিতবে। পাল্টা মমতা বলেছিলেন, আর চারটে বাকি রাখলে কেন! ওগুলোও নিয়ে নাও! বিজেপি রসগোল্লা পাবে।
দ্বিতীয় দফার ভোটে সবার চোখ ছিল নন্দীগ্রামের দিকে। সেই ভোট চলাকালীনই নরেন্দ্র মোদী বাংলায় সভা করতে এসে বলেছিলেন, দিদির মুখ দেখলেই বোঝা যাচ্ছে বাংলার ভোটের বুথ ফেরত সমীক্ষা কী! নন্দীগ্রামে মমতা হারছেন বলেও মন্তব্য করেন মোদী। এও বলেন, দিদি এখন দ্বিতীয় আসন খুঁজছেন।
তারপর থেকে দেখা গেছে প্রায় প্রতিটি সভাতেই মমতা বলছেন নন্দীগ্রামে তিনি জিতছেনই। আর বাংলাতেও সরকার গড়বে তৃণমূল। এমনকি শনিবার প্রেস কনফারেন্স করে প্রাক্তন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী তথা অধুনা সর্বভারতীয় তৃণমূলের নেতা যশবন্ত সিনহা বলেন, তিনি গোপন সূত্রে খবর পেয়েছেন, শুক্রবার গভীর রাত পর্যন্ত নরেন্দ্র মোদী, অমিত শাহ ও জেপি নাড্ডা বৈঠক করেছেন। তিনি এও দাবি করেছেন, মোদী-শাহদের অভ্যন্তরীণ রিপোর্ট হচ্ছে বাংলায় প্রথম দুদফার ভোটে বিজেপির অবস্থা শোচনীয়। তাই এবার তাঁরা মাইন্ড গেম খেলতে নামবে।