দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ গভীর রাতে কলকাতার রাস্তায় উদ্ধার হল এক তরুণীর দেহ। বুধবার রাত দুটো নাগাদ বস্তাটি উদ্ধার হয় একবালপুর থেকে। গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
গভীর রাতে একবালপুরের মৌলানা মহম্মদ আলি রোডের ধারে একটি সাদা বস্তা পড়ে থাকতে দেখেন স্থানীয়রা। সন্দেহ হওয়ায় তাঁরা খবর দেন পুলিশকে। এরপর পুলিশ এসে বস্তা খুলে দেখতে পায় এক তরুণীর দেহ রয়েছে তার ভিতর।
রাতেই ঘটনাস্থলে নিয়ে আসা হয় পুলিশ কুকুর। আশপাশের এলাকায় চলে তল্লাশি। তরুণীর পরিচয় জানার চেষ্টা করছে পুলিশ। কখন ওই বস্তা কারা ফেলে গেছে তার সন্ধানে সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে।
পুলিশ সূত্রে জানাগিনিয়েছে, সকালে একটি সিমেন্টের বস্তা পড়ে থাকতে দেখে সন্দেহ হয় স্থানীয়দের। সেটি খুলতেই হকচকিয়ে যান তাঁরা। ভিতরে ছিল হাত-পা মোড়া অবস্থায় এক তরুণীর দেহ। সঙ্গে সঙ্গেই একবালপুর থানায় খবর দেন তাঁরা। পুলিশ এসে দেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠায়। ওই তরুণীর দেহে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। গলায় ক্ষত রয়েছে। প্রাথমিক ভাবে পুলিশ জানিয়েছে, ওই তরুণীর নাম সাবা খাতুন। বয়স ২০ বছর। তিনি ওয়াটগঞ্জে দিদার কাছে থাকতেন। তবে গত দু’মাস ধরে ওয়ারিশ লেনে রেশমা নামে এক বন্ধুর বাড়িতে পেইং গেস্ট হিসেবে থাকছিলেন তিনি।
ঘটনার আগের দিন, অর্থাৎ বুধবার সন্ধ্যায় তাঁর মোবাইল ফোনে একটি কল আসে। তার পরই তিনি বেরিয়ে যান। পরে তাঁর মোবাইল ফোন বন্ধ থাকায় বাড়ির লোকেরা তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেননি। পর দিন সকালে তাঁর দেহ উদ্ধার হয়৷
নিহত তরুণীর মোবাইল ফোনের হদিস এখনও মেলেনি। কে বা কারা তাঁকে খুন করে ব্যস্ত এলাকায় এ ভাবে ফেলে দিয়ে গেল, তা-ও খতিয়ে দেখছে পুলিশ। খুনের কারণও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। প্রেমঘটিত কোনও কারণে তাঁকে খুন হতে হল কি না, সে বিষয়টিও খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
তবে এ সবই এখনও তদন্তসাপেক্ষ। আপাতত দেহটি ময়নাতদন্ত করে দেখা হচ্ছে। সাবার পরিবারের লোকজনকেও খবর দেওয়া হয়েছে বলে পুলিশ সূত্রের খবর৷