দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ করোনাভাইরাসের সংক্রমণে কার্যত ছিন্নভিন্ন গোটা বিশ্ব। এখনও মৃত্যুমিছিল গুনছে বহু দেশ। কোমর ভেঙে গেছে অর্থনীতির। কত দিনে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে, কত দিনে ঘুরে দাঁড়াবে বিশ্ব, সে উত্তর অজানা। কিন্তু তারই মধ্যে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ডিরেক্টর জেনারেল টেড্রোস আধানম ঘেব্রেসিয়াস ঘোষণা করলেন, এখন থেকেই প্রস্তুতি নিতে হবে পরবর্তী মহামারীর জন্য। করোনাই শেষ নয়।
সোমবার জেনিভায় একটি সম্মেলনে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান বলেন, “ইতিহাসের দিকে তাকালে দেখা যায়, মহামারী বা অতিমহামারী পৃথিবীর নানা দেশেরই অঙ্গ। ফলে একথা নিশ্চিত করে বলা যায়, এটাই শেষ অতিমারী নয়। তবে পরবর্তী অতিমারী যখন আসবে, তখন আজকের থেকে অনেক বেশি প্রস্তুত থাকবে গোটা বিশ্ব। কারণ এই অতিমারী বড়সড় শিক্ষা দিয়ে গিয়েছে বিশ্ববাসীকে।”
একইসঙ্গে তিনি বলেন, এই মহামারী থেকে শিক্ষা নিয়ে প্রতিটি দেশের সরকার যেন জনস্বাস্থ্য খাতে খরচ বাড়ায় আরও। তাহলে এই লড়াই লড়তে ভবিষ্যতে অনেকটাই সুবিধা হবে।
গত বছর ডিসেম্বরে চিনের হুবেই প্রদেশের উহান শহরে আত্মপ্রকাশ করে করোনাভাইরাস। কিন্তু সেখান থেকে ছড়িয়ে পড়তে শুরু করার পরে গোটা বিশ্বকে তছনছ করে ফেলেছে এই সংক্রমণ। চিন সংক্রমণ মুক্ত হয়ে গেলেও একের পর এক দেশ কঠিন থেকে কঠিনতম পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে থাকে। সংক্রমণের দাপট রুখতে লকডাউন জারি করতে হয়, স্তব্ধ হয়ে পড়ে জীবন। ইতিমধ্যেই প্রায় ৯ লক্ষ মানুষ মারা গেছেন এই সংক্রমণে।
আপাতত সকলেরই পাখির চোখ, করোনার ভ্যাকসিন কবে প্রস্তুত হবে সেই দিকে। এখনও এ বিষয়ে স্পষ্ট কোনও আশার আলো দেখা না গেলেও, দিন-রাত এক করে কয়েকশো দেশে চলছে গবেষণা। সুখবর আসতে পারে যে কোনও মুহূর্তে। তার পরে একটা বড় চ্যালেঞ্জের কথা ইতিমধ্যেই জানিয়েছে হু, ভ্যাকসিনের সমবণ্টন নিশ্চিত করা।তবে সেটাই শেষ কথা নয়। এমনই পরিস্থিতিতে হু-প্রধান মনে করিয়ে দিয়েছেন পরবর্তী মহামারীর কথাও।