দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ রাজ্যে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা দিন দিন বেড়েই চলেছে। তবে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়লেও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রোগীর সংখ্যা মোট আক্রান্তের মাত্র ১৮ শতাংশ বলে জানিয়েছেন রাজ্যের মুখ্যসচিব রাজীব সিনহা। সব রোগীদের ভালভাবে দেখভাল করা হচ্ছে বলেই জানিয়েছেন তিনি। আর হাসপাতালে ভর্তি রোগীদের তথ্য এক জায়গায় আনার জন্য এবার ‘কোভিড পেশেন্ট ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম’ চালু করেছে রাজ্য সরকার।
জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার নবান্নে একথা জানান মুখ্যসচিব রাজীব সিনহা। তিনি বলেন, রাজ্যের সরকারি ও বেসরকারি কোভিড হাসপাতালগুলিতে যাঁরা ভর্তি রয়েছেন, তাঁদের তথ্য জানা যাবে এই কোভিড পেশেন্ট ম্যানেজমেন্ট সিস্টেমের মাধ্যমে।
কিন্তু কী এই কোভিড পেশেন্ট ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম? তার বিস্তারিত ব্যাখ্যাও দেন মুখ্যসচিব।
জানা গিয়েছে, এই কোভিড পেশেন্ট ম্যানেজমেন্ট সিস্টেমের মাধ্যমে স্বাস্থ্যভবনের সঙ্গে রাজ্যের সব সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতাল যুক্ত থাকবে। হাসপাতালে ভর্তি রোগীদের তথ্য এই সিস্টেমে দেখা যাবে। কোন রোগী কেমন আছেন, সেই তথ্য এই সিস্টেমে আপলোড করবেন সংশ্লিষ্ট হাসপাতালের চিকিৎসকরা। স্বাস্থ্যভবনের আধিকারিকরা সেই তথ্য দেখতে পাবেন। এতে কোনও রোগীকে আলাদা করে কোনও চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে হবে কিনা, কিংবা কোন রোগী কতটা গুরুতর তা বুঝতে পারবেন স্বাস্থ্যভবনের আধিকারিকরা।
সূত্রের খবর, শিগগির এই কোভিড পেশেন্ট ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম যাতে সংশ্লিষ্ট রোগীর পরিবারের লোকেরাও দেখতে পারেন সেই পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে রাজ্য সরকারের তরফে। তাহলে অন্তত সেই রোগীর শরীর নিয়ে অযথা উৎকণ্ঠা কমবে তাঁদের, এমনটাই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
রাজ্যে করোনা সংক্রমণ শুরু হওয়ার পরে অনেক ক্ষেত্রেই রাজ্যের অনেক হাসপাতালকে কাঠগড়ায় দাঁড় করানো হয়েছে। কখনও অভিযোগ উঠেছে, রোগীর চিকিৎসায় গাফিলতি হয়েছে। আবার কখনও অভিযোগ উঠেছে, রোগী মারা যাওয়ার পরেও পরিবারকে সেকথা জানাতে দেরি করা হয়েছে। হাসপাতালে ভর্তি রোগীর খবর পেতে সমস্যা হচ্ছে বলেও অভিযোগ করেছেন অনেকে। আর সেই সমস্যা দূর করার জন্যই এই পরিকল্পনা নিয়েছে প্রশাসন, এমনটাই জানা গিয়েছে। তবে কবে সেই সুবিধা রোগীর বাড়ির লোকেরা পাবেন তা এখনও নির্দিষ্ট নয়। নবান্নের তরফে যত দ্রুত সম্ভব এই ব্যবস্থা শুরু করার পরিকল্পনা নেওয়া হচ্ছে বলে খবর।