দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ আরও কমল কলকাতার তাপমাত্রা। শনিবার শহরের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৩.১ ডিগ্রি। রবিবার তা নামল ১২-র ঘরে। ফলে আজ এখনও পর্যন্ত মরসুমের শীতলতম দিন। শুধু কলকাতার নয়, কমেছে জেলার তাপমাত্রাও। একাধিক জেলায় তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রির নীচে নেমে গিয়েছে। প্রত্যাশা মতোই জমিয়ে ব্যাটিং করছে শীত।
রবিবার সকালে কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১২.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা স্বাভাবিকের থেকে ৩ ডিগ্রি কম। শহরের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা এদিন ২২.৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা স্বাভাবিকের থেকে ৪ ডিগ্রি কম। বাতাসে জলীয় বাষ্পের সর্বোচ্চ পরিমাণ ৮৫ শতাংশ। উত্তর ভারত জুড়ে শুরু হয়েছে শৈত্যপ্রবাহ। কিন্তু শুক্রবার পর্যন্ত কুয়াশার দাপট ছিল বঙ্গে। কুয়াশা সরে যেতেই তাই শনিবার থেকে কমতে শুরু করেছে তাপমাত্রা। ইতিমধ্যেই পাহাড়ে তুষারপাত শুরু হয়েছে। তারও প্রভাব পড়ছে পারদ পতনে।
গত সোমবার থেকে তাপমাত্রার গতিপ্রকৃতি দেখলে বোঝা যাবে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত তা ছিল ঊর্ধ্বমুখী। গত সোমবার থেকে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল যথাক্রমে ১৬.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস, ১৭.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস, ১৭.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস, ১৮.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তবে শুক্রবার তা নামে ১৫ ডিগ্রির ঘরে। শনিবার ১৩ ও রবিবার ১২ ডিগ্রিতে নেমেছে তাপমাত্রা।
দার্জিলিংয়ে শনিবার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। একই দিনে সমতলের পানাগড়ের তাপমাত্রা ছিল ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।অর্থাৎ, পাহাড়-সমতলের তাপমাত্রার ফারাক মাত্র ২ ডিগ্রির। শিলিগুড়ির সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ৭.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। কোচবিহারে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ৭.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
সপ্তাহের প্রথমের দিকে তাপমাত্রা বেড়ে যাওয়ার প্রধান কারণ ছিল পশ্চিমী ঝঞ্ঝা। তার ফলেই উত্তুরে হাওয়া বাধা পাচ্ছিল। সেই সঙ্গে কুয়াশার জন্যও পারদ পতনে সমস্যা হচ্ছিল। কিন্তু জম্মু-কাশ্মীর ও উত্তর ভারতে পশ্চিমী ঝঞ্ঝা কেটে গিয়ে তাপমাত্রা হু হু করে নামতে শুরু করেছে। একই ছবি দেখা যাচ্ছে রাজ্যেও। আগামী মঙ্গলবার পর্যন্ত এই ধরনের ঠান্ডা থাকবে বলে জানিয়েছে আলিপুর। তার পর থেকে ফের তাপমাত্রা খানিকটা বাড়তে পারে বলেই পূর্বাভাস দিয়েছে তারা। তবে তাপমাত্রা কিছুটা বাড়লেও শীতের আমেজ বজায় থাকবে বলেই জানিয়েছে আলিপুর। ২৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত ১৫ ডিগ্রির আশপাশেই তাপমাত্রা থাকবে বলে পূর্বাভাস।