দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ কচুয়ার লোকনাথধাম থেকে নমুনা সংগ্রহে যাবে ফরেন্সিক দল। সারাদিন মন্দির চত্বরে দফায় দফায় আনাগোনা চলছে পুলিশকর্তাদেরও। আজও ভিড় রয়েছে পুণ্যার্থীদের। তাই নজরদারি চালাচ্ছে পুলিশ ও লোকনাথ মিশনের ভলান্টিয়াররা।
জন্মাষ্টমী উপলক্ষে বৃহস্পতিবার রাত থেকেই ভক্তদের ভিড় উপচে পড়েছিল কচুয়ার লোকনাথ ধামে। বৃষ্টি উপেক্ষা করেই লাখো লোক বিভিন্ন নদী থেকে জন নিয়ে লোকনাথবাবার দর্শনের জন্য আসতে থাকেন। রাত দুটো নাগাদ হঠাৎই ভিড়ের চাপে রাস্তার ধারের একটা পাঁচিল হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ে।
তলায় চাপা পড়ে যান বহু মানুষ। ভয়ে আতঙ্কে শুরু হয়ে যায় ছোটাছুটি। পদপিষ্ট হয়েও জখম হন অনেকে। আহতদের উদ্ধার করে প্রথমে বসিরহাট জেলা হাসপাতাল ও ধান্যকুড়িয়া গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
কিন্তু অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় দ্রুত কলকাতার আরজিকর, এসএসকেএম, নীলরতন সরকার মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল ও ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সরকারি ভাবে এ পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে পাঁচজনের। তবে বেসরকারি মতে এই সংখ্যা আরও বেশি।
খবর পেয়েই শুক্রবার বিভিন্ন হাসপাতালে আহতদের দেখতে যান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মৃতদের পরিবার ও আহতদের জন্য ক্ষতিপূরণও ঘোষণা করেন তিনি।
ঘটনায় দায় নিয়ে শুক্রবার থেকেই মন্দির কমিটি ও প্রশাসনের মধ্যে শুরু হয়েছে চাপানউতোর। মন্দির কমিটির গাফিলতিতেই এত বড় দুর্ঘটনা বলে প্রশাসনের কর্তারা অভিযোগ করলেও, মন্দির কমিটি জানায়, উৎসবের আগে দফায় দফায় প্রশাসনের কর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন তাঁরা।
যা ভিড় হয়েছিল, তার তুলনায় পুলিশ কম ছিল বলে মন্দির কমিটির পাল্টা দাবি। ঘটনার পর থেকে কোনও বিবৃতি না দেওয়ায় মন্দির কমিটির ভূমিকা নিয়ে ভক্তদের মধ্যেও প্রশ্ন ওঠে।
আজ সকালে লোকনাথ মিশনের সম্পাদক তুষার কান্তি বসাক জানান, মৃতদের আত্মার প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে তাঁদের পরিবারের হাতে সৎকারের জন্য সাত হাজার টাকা করে তুলে দেওয়া হয়েছে। আহতদের পাশে থাকারও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
এ দিকে মন্দির কমিটির বিরুদ্ধে খুনের মামলা দায়ের করা হবে কি না তা নিয়ে ভাবনাচিন্তা চলছে বলে প্রশাসনিক সূত্রে জানা গেছে।