দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ
সিয়াভর রামচন্দ্র কী.. জয়
° জয় শ্রীরাম।
° আজ এই জয়ঘোষ শুধু অযোধ্যা নগরীতে নয়, গোটা বিশ্বে গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে।
° সারা বিশ্বের রাম ভক্তদের অভিনন্দন।
° এই ঐতিহাসিক ক্ষণের সাক্ষী হওয়ার জন্য আমাকে যে সুযোগ দেওয়া হয়েছে সে জন্য শ্রীরাম জন্মভূমি তীর্থক্ষেত্র ট্রাস্টকে ধন্যবাদ।
° ভারত আজ ভগবান রামের পাদদেশে এক স্বর্ণালী ভবিষ্যৎ লিখতে চলেছে। আজ পুরো ভারত রামময়। পুরো দেশ রোমাঞ্চিত। প্রত্যেকের মনে যেন দীপাবলী। বহু বছরের অপেক্ষা শেষ হতে চলেছে।
° কোটি কোটি মানুষের বিশ্বাসই হয়তো হচ্ছে না যে জীবদ্দশায় তাঁদের এই স্বপ্নপূরণ হচ্ছে।
° অনেক বছর ধরে কাঠ আর তাঁবুর নিচে থাকা রামলালার জন্য এবার মন্দির নির্মাণ হবে।
° ভাঙা গড়ার মধ্যে দিয়ে রাম জন্মভূমির এক অনন্য ইতিহাস রচিত হতে চলেছে।
° রাম মন্দিরের জন্য কয়েক প্রজন্ম অখণ্ড অবিরত এবং এক নিষ্ঠ ভাবে চেষ্টা করেছে। আজকের দিন সেই সংকল্প ও ত্যাগের প্রতীক। অর্পণ আর তর্পণের প্রতীক। যাঁদের ত্যাগ, বলিদান ও সংঘর্ষের জন্য এই স্বপ্নপূরণ হচ্ছে আমি তাঁদের সবাইকে ১৩০ কোটি দেশবাসীর তরফে মাথানত করে প্রণাম জানাচ্ছি।
° ভগবানের রামের অদ্ভুত শক্তি দেখুন। ইমারত ধ্বংস হয়ে গেছে। অস্তিত্ব মিটিয়ে দেওয়ার চেষ্টা হয়েছে। কিন্তু রাম এখনও আমাদের মনে রয়েছেন। আমাদের সংস্কৃতির আধার। শ্রীরাম ভারতের মর্যাদা, ভারতের মর্যাদা পুরুষোত্তম।
° শ্রীরামের এই ভব্য দিব্য মন্দিরের জন্য আজ ভূমি পুজো হয়েছে।
° এখানে আসার আগে আমি হনুমান গড়িতে গিয়েছিলাম। রামের সবকিছুই তো হনুমান রক্ষা করেন। তাই তাঁর দর্শন করতে গিয়েছিলাম।
° রাম মন্দির রাষ্ট্রীয় ভাবনার প্রতীক হবে। আমার আস্থার প্রতীক। ভারতের আধুনিকতার প্রতীক হবে। এই মন্দির আগামী প্রজন্মকে আস্থা, শ্রদ্ধা ও সংকল্পের প্রেরণা যোগাবে। শুধু তা নয়, এই এলাকার অর্থনৈতিক ছবিও বদলে যাবে। প্রতিটি ক্ষেত্রে সুযোগ বাড়বে। কারণ, গোটা বিশ্ব দেখে মানুষ এখানে আসবেন।
° রাম মন্দির নির্মাণের প্রক্রিয়া হল রাষ্ট্রকে জোড়ার একটা প্রয়াস। নরকে নারায়ণের সঙ্গে জোড়ার, লোককে আস্থার সঙ্গে জোড়ার প্রক্রিয়া।
° শুধু নতুন ইতিহাসের রচনা হচ্ছে না। ইতিহাসের পুনরাবৃত্তিও হচ্ছে। যে ভাবে ছোট ছোট জীব ভগবান রামের লঙ্কাজয়ের শরিক হয়েছিল, ঠিক যে ভাবে বানর সেনা রামসেতু তৈরি করেছিল, ঠিক যেভাবে মহাত্মা গান্ধীর আন্দোলনে দেশের গরিব, পিছিয়ে পড়া মানুষ সামিল হয়েছিলেন, ঠিক সেভাবেই গোটা দেশের মানুষের সমষ্টিগত প্রয়াসে রাম মন্দির নির্মাণ হতে চলেছে।
° শ্রীরাম সামাজিক সদ্ভাবকে তাঁর সুশাসনের আধারশিলা বানিয়েছিলেন। সমাজের সবাইকে তিনি একই দৃষ্টিভঙ্গীতে দেখতেন। তবে গরিব ও পিছিয়ে পড়াদের জন্য তাঁর অধিক স্নেহ ছিল। তাঁর অদ্ভুত ব্যক্তিত্ব, বীরত্ব, নির্ভীকতা, দার্শনিক দৃষ্টি, যুগ যুগ ধরে প্রেরণা যোগাচ্ছে।
ভারতের আস্থায়, আদর্শে, দিব্যতায়, দর্শনে রাম রয়েছেন।
° হাজার বছর আগে বাল্মিকীর রামায়ণ প্রাচীণ ভারতকে যেভাবে পথ দেখিয়েছিল, যে রাম মধ্যযুগে তুলসীদাস, কবিরের লেখনীতে উঠে এসেছিলেন, সেই রামকেই স্বাধীনতা আন্দোলনের সময়ে মহাত্মা গান্ধীর ভজনে অহিংসা আর সত্যাগ্রহের শক্তি হিসাবে দেখা গিয়েছে।
° ভারতের রাম ভিন্ন ভিন্ন রূপে রয়েছেন। কিন্তু সর্বত্রই রয়েছেন। রাম ভারতে বৈচিত্রের মধ্যে ঐক্যের প্রতীক।
° বিশ্বের সর্বাধিক মুসলিম জনসংখ্যা রয়েছে ইন্দোনেশিয়ায়। সেখানেও রামায়ণ পড়া হয়, রাম এখনও সেখানে পূজিত হন। ইরান ও চিনেও রামের প্রসঙ্গ পাওয়া যায়।
°প্রভু রাম আমাদের কর্তব্যপালনের পাঠ দিয়েছেন। উনি আমাদের বিরোধ থেকে বেরিয়ে এসে বোধের পথ দেখিয়েছে। আমাদের পারস্পরিক দ্বন্দ্ব থেকে বেরিয়ে এসে সৌভ্রাতৃত্বের সঙ্গে মন্দির নির্মাণ করতে হবে।
° রাম সময়, স্থান আর পরিস্থিতি অনুযায়ী ভেবেছেন, তাঁর দর্শনের কথা জানিয়েছেন, কাজ করেছেন। রাম আমাদের সময়ের সঙ্গে এগোতে শিখিয়েছেন, চলতে শিখিয়েছেন। রাম পরিবর্তনের প্রতীক, রাম আধুনিকতার প্রতীরক। রামের সেই প্রেরণা নিয়ে ভারত এগোবে।
° আমাদের মনে রাখতে হবে, মানবজীবনে আমরা যখন রামকে মেনে চলেছি, তাঁর আদর্শের পথে আমরা থেকেছি তখনই বিকাশ হয়েছে। সেই পথ থেকে বিভ্রান্ত হলেই বিনাশ হয়েছে। আমাদের সবার অনুভূতিকে গুরুত্ব দিতে হবে, সবার সঙ্গে থেকে সবার উন্নতি করতে হবে। সবার আস্থা অর্জন করতে হবে।