আর পাচঁজনের মতো তাঁরাও স্বাভাবিকভাবে বেঁচে থাকতে চান,বনগাঁয় সাংবাদিক বৈঠকে বললেন একসময় পাচার হয়ে যাওয়া মহিলারা

0
1456

দেশের সময়, বনগাঁ: মানসিক চাপ কাটাতে প্রয়োজন বিশেষজ্ঞ কাউন্সিলর চিকিৎসক। সঙ্গে দরকার শান্তির বাড়ি। আর এ সবই দিতে পারে সরকার। তাই আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনের প্রাক্কালে নবনির্বাচিত রাজ্য সরকারের কাছে এমনই দাবি নিয়ে হাজির হলেন একসময় পাচার হয়ে যাওয়া মহিলারা। মঙ্গলবার তাঁরা তাঁদের নিজেদের দাবির সমর্থনে বনগাঁয় সাংবাদিক বৈঠক করলেন।

আর্থ সামাজিক পরিস্থিতির কারণে যেসব মহিলারা একসময় পাচার হয়ে গিয়েছিলেন, তাঁদের অনেকেই বিভিন্নভাবে নিজেদের পরিবারের কাছে ফিরে আসতে পেরেছেন। উত্তর ২৪ পরগনার এমন শতাধিক মহিলাদেরকে নিয়ে গঠিত হয়েছে দুটি সামাজিক সংগঠন। আর সেই সংগঠনের মাধ্যমে এখন সুস্থভাবে বেঁচে থাকার লড়াইয়ে সামিল হয়েছেন এই মহিলারা।

এদিন সাংবাদিক বৈঠক করে ১১ দফা দাবি সাংবাদিকদের মাধ্যমে নবগঠিত সরকারের কাছে আবেদন রাখতে চান তাঁরা। সেই দাবির মধ্যে অন্যতম, সরকারি উদ্যোগে তাঁদের জন্য নিজস্ব বাসস্থান তৈরি করে দেওয়া, যেখানে অন্তত শান্তিতে তাঁরা নিশ্চিন্তে ঘুমাতে পারবেন। তাঁদের মানসিক চাপ, অস্থিরতা কাটাতে বিশেষজ্ঞ কাউন্সিলর চিকিৎসক এবং সঙ্গে বিনামূল্যে ওষুধের ব্যবস্থা করা। তাঁদের জীবনের নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা।

যেসব পাচারকারীর খপ্পরে পড়ে তাঁরা পাচার হয়ে যেতে বাধ্য হয়েছেন, সেই সব পাচারকারীদের কঠোর শাস্তির ব্যবস্থা করা। প্রতিটি থানায় তাঁদের জন্য গঠিত বিশেষ শাখার মাধ্যমে তাঁদের সমস্যার সমাধান করা ইত্যাদি। সাংবাদিকদের মাধ্যমে তাঁরা নবনির্বাচিত বিধায়কদের মাধ্যমে নবগঠিত সরকারের কাছে এইসব আবেদন তুলে ধরতে চান।

আর তাই বিধানসভা নির্বাচনের আগেই তাঁরা তাঁদের দাবিতে সরব হয়েছেন। তাঁরা জানান, পাচার বন্ধের উদ্দেশ্যে তাঁরা গ্রামাঞ্চলে বিভিন্ন রকম কর্মসূচি পালন করছেন। তার মধ্যে যেমন রয়েছে বাল্যবিবাহ রোধ, দরিদ্র ছেলেমেয়েদের পড়াশোনার সামগ্রী কিনে দেওয়া, প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে দাঁড়ানো ইত্যাদির মতো সামাজিক কাজ। আর এভাবেই তাঁরা সুস্থ জীবনে স্বাভাবিকভাবে বেঁচে থাকতে চান।

Previous article‘অটল কাব্য কলা নর্তন’
Next articleভুলতে পারি নিজের নাম, ভুলব নাকো নন্দীগ্রাম: ভেবেই রেখেছিলাম, এ বার সিঙ্গুর অথবা নন্দীগ্রাম থেকে প্রার্থী হব, বললেন মমতা

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here