দেশের সময় ওয়েবডেস্ক: প্রসঙ্গ ছিল ডিটেনশন ক্যাম্প। আর তা নিয়েই সম্প্রতি বিরোধীদের আক্রমণ করে প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন, ‘সব ঝুট হ্যায়। দেশে একটিও ডিটেনশন সেন্টার নেই।’ সেই মন্তব্যকে হাতিয়ার করেই প্রধানমন্ত্রীকে আক্রমণ করেন কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধী। ভিডিয়ো পোস্টে প্রমাণ করেন, অসমে ডিটেনশন ক্যাম্প তৈরি হচ্ছে। আর এই ডিটেনশন ক্যাম্প ইস্যুতে এবার প্রধানমন্ত্রীকে নিশানা করলেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। স্পষ্ট জানিয়ে দেন, ‘অসমে ওদের সরকার, তাই করতে পেরেছে। মরে গেলেও বিজেপি-কে বাংলায় কোনও ডিটেশন ক্যাম্প করতে দেব না।’
নাগরিক আইনকে হাতিয়ার করে উদ্বাস্তুদের পাশে থাকার দাবি করেছে বিজেপি। কলকাতায় মিছিল করে উদ্বাস্তু উন্নয়নের দাবি তুলেছেন দলের কার্যকরী সভাপতি জে পি নাড্ডা। শুক্রবার নৈহাটির সভা থেকে মমতা বলেন, ‘আমার কাছে সবাই প্রিয়। আমি নমঃশূদ্রদের ভালোবাসি। উদ্বাস্তুদের ভালোবাসি। বিজেপি-র কাছ থেকে শিক্ষা নেব না।’ তৃণমূল নেত্রী আরও জানান, ১৯৮৪ সাল থেকে উদ্বাস্তুদের পাশে রয়েছেন তিনি। বলেন, ‘প্রথমবার সাংসদ হয়েই উদ্বাস্তুদের জন্য নিঃশর্ত দলিলের’ ব্যবস্থা করেছিলেন। তাঁর সরকারই ৯৪টি উদ্বাস্তু কলোনিকে অনুমোদন দিয়েছে, তা মনে করিয়ে দেন মুখ্যমন্ত্রী।
নৈহাটির সভা থেকে ব্যারাকপুরের বিজেপি সাংসদ অর্জুন সিংকেও নাম না করে নিশানা করেন তৃণমূল নেত্রী। বলেন, ‘এতদিন নিপাট ভদ্রলোক দীনেশ দাকে (দীনেশ ত্রিবেদী) আপনারা নির্বাচিত করেছিলেন, কোনও অসুবিধা হয়েছে? আর একজন কয়েক দিনের জন্য এসে নৈহাটি স্টেডিয়ামে ভাঙচুর করেছে। শুধু ভাঙা ছাড়া কোনও কাজ নেই ওদের।’
প্রসঙ্গত, লোকসভা নির্বাচনে ব্যারাকপুর কেন্দ্রে তৃণমূলের পরাজয়ের পরও নৈহাটিতে এসেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ব্যারাকপুর সংসদীয় এলাকা জুড়ে ভোট পরবর্তী রাজনৈতিক সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে সে সময় দলীয় সভায় হাজির হয়ে দলের নেতা-কর্মীদের মনে সাহস জুগিয়েছিলেন। নির্দেশ দিয়েছিলেন, মানুষের পাশে থাকার।