দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ সরকারকে আক্রমণ করার জবাবে সরকারের পক্ষে নোটিশ পাঠানো হয়েছে প্রিয়াঙ্কা গান্ধীকে। আর তার জবাবে প্রিয়াঙ্কার তোপ, “আমি ইন্দিরা গান্ধির নাতনি, ওরা যা খুশি করতে পারে।”
কানপুরের কিশোরী শেল্টার হোম ঘিরে বিতর্ক এখন চরমে। ওই হোমের দুই কিশোরী সন্তানসম্ভবা বলে খবর প্রকাশ্যে আসতেই বিরোধীরা আক্রমণ শানিয়ে চলেছে উত্তরপ্রদেশের যোগী আদিত্যনাথ সরকারের বিরুদ্ধে। আর সেই বিরোধিতার জন্যই কংগ্রেস নেত্রী প্রিয়াঙ্কা বঢরাকে নোটিশ পাঠিয়েছে যোগী সরকার। এবার সেই নোটিশের পাল্টা তোপ দাগলেন রাজীব-সনিয়া কন্যা।। তিনি বলেন, “যা খুশি পদক্ষেপ ওরা নেবে, নিতে পারে। কিন্তু আমি সত্যের হয়ে কথা বলবোই। আমি ইন্দিরা গান্ধির নাতনি, আমি অন্য বিরোধী দলের নেতাদের মতো বিজেপির অপ্রকাশিত মুখপাত্র নই।”
উত্তরপ্রদেশে করোনাভাইরাস সংক্রমণে মৃত্যুর হার বাড়ছে বলেও আগে আক্রমণ শানিয়েছেন প্রিয়াঙ্কা। এর জন্য আগ্রা জেলা প্রশাসন প্রিয়াঙ্কাকে বক্তব্য প্রত্যাহার করতে বলে। এবার নোটিশ পাঠানো হয়েছে কানপুর শেল্টার হোম নিয়ে। নোটিশে তিনদিনের মধ্যে জবাব দিতে বলা হয়েছে প্রিয়াঙ্কাকে।
जनता के एक सेवक के रूप में मेरा कर्तव्य यूपी की जनता के प्रति है, और वह कर्तव्य सच्चाई को उनके सामने रखने का है। किसी सरकारी प्रॉपगैंडा को आगे रखना नहीं है। यूपी सरकार अपने अन्य विभागों द्वारा मुझे फिज़ूल की धमकियाँ देकर अपना समय व्यर्थ कर रही है।..1/2
— Priyanka Gandhi Vadra (@priyankagandhi) June 26, 2020
হিন্দিতে টুইট করে রীতিমতো চ্যালেঞ্জ জানিয়েছেন প্রিয়াঙ্কা। ২৫ জুন ছিল ইন্দিরা গান্ধী সরকার ঘোষিত জরুরি অবস্থার ৪৫ বছর। বৃহস্পতিবার কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ কংগ্রেসকে আক্রমণ করতে ইন্দিরা আমলের জরুরি অবস্থার কথা তুলে আনেন।
.. जो भी कार्यवाही करना चाहते हैं, बेशक करें। मैं सच्चाई सामने रखती रहूँगी। मैं इंदिरा गांधी की पोती हूँ, कुछ विपक्ष के नेताओं की तरह भाजपा की अघोषित प्रवक्ता नहीं।..2/2
— Priyanka Gandhi Vadra (@priyankagandhi) June 26, 2020
বলেন কংগ্রেস সেই সময়ে কারাগার বানিয়েছিল গোটা দেশকে। অমিতের সেই আক্রমণের ঠিক পরের দিনেই শুক্রবার এই টুইট করেন প্রিয়াঙ্কা। তিনি লেখেন, “আমি মানুষের সেবক হিসেবে উত্তরপ্রদেশের মানুষের কাছেই শুধু জবাবদিহি দেব। সত্যিটা শুধু তাঁদেরকেই বলবো। সরকারকে নয়। উত্তরপ্রদেশ সরকার তাই যেভাবে খুশি আমাকে হেনস্থা করতেই পারে। তা নিয়ে আমি চিন্তিত নই।”
বৃহস্পতিবার টুইটে অমিত শাহ লেখেন, “আজ থেকে ৪৫ বছর আগে এক পরিবার ক্ষমতার লোভে দেশের উপরে জরুরি অবস্থা চাপিয়ে দেয়। দেশকে রাতারাতি কারাগারে পরিণত করে। সংবাদমাধ্যম থেকে আদালত সব কিছুই জোর করে বন্ধ করে দেওয়া হয়। অত্যাচার চালানো হয়েছিল।”