দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ সুপার সাইক্লোন আমপানের গতিবিধির ওপর কড়া নজর রাখছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দুপুরের পর বাইরে না বেরনোর আবেদন রাখলেন রাজ্যবাসীর কাছে।
বাজার বন্ধের অ্যাডভাইসারি জারি করেছে আবহাওয়া দপ্তর। স্থলভাগের দিকে এগোচ্ছে আমপান। জানা যাচ্ছে, বুধবার বিকেলের মধ্যেই দিঘা, হাতিয়ায় মধ্যে সুন্দরবন লাগোয়া অঞ্চলে আছড়ে পড়তে পারে। সর্বোচ্চ গতিবেগ হতে পারে ঘন্টায় ১৮৫ কিমি। কলকাতায় ঘন্টায় ১৩০ কিমি বেগে বইতে পারে ঝোড়ো হাওয়া। ঘূর্ণিঝড় আমফানের প্রভাবে প্রভাবে ওডিশায় শুরু হয়েছে প্রবল ঝড়। এই মুহূর্তে পারাদ্বীপে ঘণ্টায় ১০৬ কিলোমিটার বেগে বইছে ঝোড়ো হাওয়া। সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে রাজ্যের উপকূলবর্তী এলাকা থেকে ১ লক্ষ ১৯ হাজার ৭৫ জনকে নিরাপদ জায়গায় সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। খোলা হয়েছে ১ হাজার ৭০৪টি ত্রাণ শিবির।
রাজ্য সরকারের ২৪ ঘণ্টার কন্ট্রোল রুমের টোল ফ্রি নম্বর ১০৭০
রাজ্য সরকারের কন্ট্রোল রুমের নম্বর ০৩৩-২২১৪-৩৫২৬
রাজ্য সরকারের কন্ট্রোল রুমের নম্বর ০৩৩-২২১৪-১৯৯৫
বিদ্যুত্ দপ্তরের হেল্পলাইন নম্বর ৭৪৪৯৩০০৮৪০, ৯৪৩৩৫৬৪১৮৪
প্রবল গতিতে আছড়ে পড়ার পরে ১২ ঘণ্টা ধরে তাণ্ডব চালাবে অতি মারাত্মক ঘূর্ণিঝড় আমপান । রাজ্যের সাত জেলায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানাল আলিপুর আবহাওয়া দফতর। আমপান সবচেয়ে বেশি তাণ্ডব চালাবে উপকূলীয় তিন জেলা দুই ২৪ পরগনা ও পূর্ব মেদিনীপুরে। তার চেয়ে কিছুটা কম থাকবে কলকাতা, হাওড়া, হুগলি ও পশ্চিম মেদিনীপুরে। তার পর নদিয়া-মুর্শিদাবাদ হয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করবে গভীর নিম্নচাপ হিসেবে।
আজ বুধবার বিকেলে ১৫৫ থেকে ১৮০ কিলোমিটার বেগে ‘অতি মারাত্মক ঘূর্ণিঝড়’ হিসেবে আছড়ে পড়বে আমপান (প্রকৃত উচ্চারণ উম পুন)। বুধবার সকালে আলিপুর আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, বুধবার বিকেলে স্থলভাগে আছড়ে পড়ার পর বৃহস্পতিবার সকাল পর্যন্ত ঘূর্ণিঝড়ের দাপট থাকবে। সঙ্গে চলবে ভারী, অতিভারী, বা অতিপ্রবল বৃষ্টিপাত। আবহবিদরা জানিয়েছেন, উপকূলীয় তিন জেলায় ঘূর্ণিঝড়ের গতিবেগ থাকবে ঘণ্টায় ১৫৫ থেকে ১৬৫ কিলোমিটার। সর্বোচ্চ গতিবেগ হতে পারে ঘণ্টায় ১৮৫ কিলোমিটার পর্যন্ত। পাশাপাশি জলোচ্ছ্বাসও থাকবে সমুদ্রে। দুই ২৪ পরগনায় ঢেউয়ের উচ্চতা হবে ৪ থেকে ৫ মিটার। পূর্ব মেদিনীপুরের উপকূলীয় এলাকায় ঢেউ হবে ৩-৪ মিটার উঁচু।
কলকাতা, হাওড়া, হুগলি ও পশ্চিম মেদিনীপুরেও ঝড়ের পূর্বাভাস দিয়েছেন আবহবিদরা। এই তিন জেলায় ঝড়ের গতিবেগ থাকবে ১১০ থেকে ১২০ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা। সেই গতিবেগ সর্বোচ্চ হতে পারে ১৩০ কিমি পর্যন্ত। এই জেলাগুলিতে অতি ভারী বৃষ্টিপাত হবে।
নদিয়া, মুর্শিদাবাদ-সহ গাঙ্গেয় দক্ষিণবঙ্গের বাকি জেলাগুলিতেও ঝড়বৃষ্টি হবে। এর মধ্যে নদিয়া মুর্শিদাবাদে ঝড়ের গতিবেগ থাকবে প্রতি ঘণ্টায় ৭০ থেকে ৮০ কিলোমিটার, যা সর্বোচ্চ ৯০ কিলোমিটার পর্যন্ত হতে পারে। অন্য জেলাগুলিতে এই গতিবেগ থাকবে ঘণ্টায় ৪৫-৫৫ কিলোমিটার। সর্বোচ্চ গতিবেগ হতে পারে ৬৫ কিমি প্রতি ঘণ্টা। সঙ্গে চলবে বৃষ্টি।
এর পর কাল বিকেলে বাংলাদেশে প্রবেশ করবে আমপান। তবে তখন গভীর নিম্নচাপে পরিণত হবে। তার প্রভাবে বৃষ্টিপাত ও ঝোড়ো হাওয়া থাকবে। অন্য দিকে আমপানের প্রভাবে আজ রাত থেকে উত্তরবঙ্গের তিন জেলায় বৃষ্টি হবে বলে জানিয়েছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর। মালদহ ও দুই দিনাজপুরে বৃষ্টি চলবে।
নবান্নের টোল ফ্রি নম্বর ১০৭০, নবান্নের অন্য দু’টি নম্বর ২২১৪-৩৫২৬ ও ২২১৪-১৯৯৫>> আমপান বাঁক নিচ্ছে। কিন্তু কতটা, এখনও নিশ্চিত নয়।কলকাতা পুলিশ: (০৩৩) ২২১৪-৩০২৪, ২২১৪-১৩১০, ২২১৪-৩২৩০, হোয়াটসঅ্যাপ নম্বর- ৯৪৩২৬২৪৩৬৫,আমপানের কেন্দ্রের অভিমুখ এখনও বকখালি-সাগরদ্বীপের দিকেই: