দেশের সময়: ২৪ ঘন্টার ব্যবধানে নিজের পুরনো সিদ্ধান্ত থেকে ৩৬০ ডিগ্রি ঘুরে গেলেন বিজেপির বিক্ষুব্ধ বিধায়ক দুলাল বর। বুধবার সাংবাদিক বৈঠক করে দুলাল বর জানিয়েছিলেন, দলীয় পদ এবং দল ছাড়ছেন তিনি।
বৃহস্পতিবার নিজের সেই সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসে তিনি জানান, আপাতত তিনি দলীয় পদ এবং দল ছাড়ছেন না। এই ঘটনায় বিজেপির অন্দরে নতুন করে বিতর্ক দানা বাঁধলো।
গাইঘাটা বিধানসভা কেন্দ্রে বিজেপি সুব্রত ঠাকুরকে প্রার্থী করায় পুরনো বিজেপি কর্মীদের মধ্যে ব্যাপক ক্ষোভের সৃষ্টি হয়।
এর পাশাপাশি বাগদার বিজেপি বিধায়ক দুলাল বর পদাধিকারবলে বিজেপির তপশিলি মোর্চার রাজ্য সভাপতির দায়িত্ব পালন করা সত্ত্বেও তাঁকে বিধানসভায় টিকিট না দেওয়ায় তিনি ক্ষুব্ধ হন। এরই পরিপ্রেক্ষিতে বুধবার তিনি তাঁর অনুগামীদের নিয়ে গাইঘাটায় এক সাংবাদিক বৈঠক করেন। তিনি সেখানে অভিযোগ করেন, ঠাকুরবাড়িকে সামনে রেখে দলকে ভুল বুঝিয়ে, ব্ল্যাকমেইল করে দাদা সুব্রত ঠাকুরকে গাইঘাটা কেন্দ্রের টিকিট পাইয়ে দিয়েছে বনগাঁর বিজেপি সাংসদ শান্তনু ঠাকুর।
এর পাশাপাশি দলের অন্যান্য মোর্চা সভাপতিরা টিকিট পেলেও তিনি তপশিলি মোর্চার সভাপতি হওয়া সত্ত্বেও তাঁকে টিকিট দেওয়া হয়নি। ২৪ ঘন্টার মধ্যে সুব্রত ঠাকুরকে সরিয়ে সেখানে অন্য কাউকে প্রার্থী করা এবং তাঁকে টিকিট না দেওয়া হলে তিনি তপশিলি মোর্চার রাজ্য সভাপতির পদ থেকে ইস্তফা দেবেন। পাশাপাশি দলও ছাড়বেন। এই ঘোষণার পরপরই চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে রাজনৈতিক মহলে। বুধবার রাতেই কলকাতায় তিনি দলীয় নেতৃত্বের সঙ্গে কথা বলেন।
বৃহস্পতিবার তিনি সারাদিন কলকাতাতেই কাটান। সেখান থেকেই তিনি টেলিফোনে জানান, আপাতত তিনি তপশিলি মোর্চার রাজ্য সভাপতির পদ থেকে ইস্তফা দিচ্ছেন না এবং দল ত্যাগ করছেন না। সাময়িকভাবে দলের উপর ক্ষোভ তৈরি হলেও আপাতত তা প্রশমিত হয়েছে বলে তিনি জানান।