দেশের সময় ওয়েবডেস্ক: তৃতীয়বারের জন্য মুখ্যমন্ত্রী হয়েই সংগঠনকে ঢেলে সাজাতে চাইছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। একুশের বিধানসভা ভোটে বিজেপির সঙ্গে হাইভোল্টেজ লড়াইয়ে ব্যাপক সাফল্য পেয়েছে তৃণমূল।
২১৩ টি বিধানসভা কেন্দ্র বিপুল জয় পেয়েছে তৃণমূল। তৃণমূলের এই সাফল্যের পিছনে রয়েছে আই-প্যাক- এর আবদান। বিধানসভা ভোটের আগে থেকেই তৃণমূলের হয়ে রণকৌশল তৈরির কাজ করছিল আই-প্যাক৷
আই-প্যাক -এর তৈরি করা রিপোর্টের ভিত্তিতেই প্রার্থী তালিকা সাজিয়েছিল তৃণমূল। গত বিধানসভায় জয়ী একাধিক বিধায়ককে এবার প্রার্থী করেনি তৃণমূল। একাধিক নতুন মুখকে প্রার্থী করে চমক দেয় শাসক দল তৃণমূল। আর তাতে ভরাডুবি নয় মিলেছে সাফল্য।
২০২৪ লোকসভা ভোটে ভালো ফল করতে মরিয়া তৃণমূল। আর এক্ষেত্রেও তৃণমূল ভরসা রাখছে সেই আই-প্যাক-এর উপর। আই-প্যাক -এর রিপোর্ট কার্ডকে গুরুত্ব দিচ্ছে তৃণমূল। সেইমতো জেলা সংগঠনকে ঢেলে সাজাতে চাইছে তৃণমূল শীর্ষ নেতৃত্ব। রাজ্যের প্রতিটি জেলা নিয়ে আলাদা আলাদা রিপোর্ট কার্ড তৈরি করেছে আই-প্যাক।
সেই রিপোর্ট কার্ডগুলি খতিয়ে দেখে জেলা সংগঠনে রদবদল থেকে শুরু করে বড় জেলাগুলিকে ভেঙে সাংগঠনিক জেলা করা হতে পারে। সাংগঠনিক সভাপতিদের মাথায় বসানো হতে পারে চেয়ারম্যানদের, এমনটাই জানাচ্ছে তৃণমূলের একটি সূত্র।
প্রসঙ্গত, একুশের বিধানসভা ভোটের পর থেকেই তৃণমূলে এক ব্যক্তি এক পদ নীতি নিয়ে কথাবার্তা চলছে। সেক্ষেত্রে অনেক জেলায় সভাপতি পদে বদল ঘটতে পারে। অনেক জেলাতেই সভাপতি পদে রয়েছেন রাজ্যের মন্ত্রীরা। এ বিষয়ে আলোচনা চলছে দলের অন্দরে। আগামী ১৪ অথবা ১৫ জুলাই জেলা সংগঠনে একাধিক রদবদল নিয়ে ঘোষণা হতে পারে।
বিধানসভা ভোটে সংগঠনে যাঁরা ভালো কাজ করেছেন তাঁদেরকেও নতুন দায়িত্বে আনা হতে পারে। সংগঠনের বিভিন্ন পদেই দেখা যাতে পারে রদবদল, এমনটাই খবর তৃণমূল সূত্রে।