দেশের সময়: অবশেষে চলতি বছরের জন্য আইপিএলের টাইটেল স্পনসর ঠিক করে নিল বিসিসিআই। গেমিং অ্যাপ সংস্থা ড্রিম ১১ – এর নাম চলতি মরসুমের আইপিএল স্পনসর হিসেবে ঘোষণা করেছে বোর্ড।
এদিন আইপিএলের গভর্নিং কাউন্সিলের চেয়ারম্যান ব্রিজেশ পটেল জানিয়ে দেন, ড্রিম ১১ – এর সঙ্গে চুক্তি পাকা হয়েছে। দৌড়ে ছিল টাটা গ্রুপ। তাদের টপকে এই স্পনসরশিপ পেল ড্রিম ১১। আপাতত ৩১ ডিসেম্বর অবধি চুক্তি করা হয়েছে এই গেমিং অ্যাপ সংস্থার সঙ্গে।
বিসিসিআইয়ের সঙ্গে ২২২ কোটি টাকার চুক্তি হয়েছে বোর্ডের। বোর্ডের এই চুক্তি থেকে পরিষ্কার শুধুমাত্র এই বছরের জন্যই এই চুক্তি করেছে বোর্ড। আগামী বছর ফের ভিভোকেই ফিরিয়ে আনার চিন্তা ভাবনা রয়েছে বোর্ডের, এমনটাই জানা গিয়েছে।
আগের টাইটেল স্পনসর ভিভোর সঙ্গে চুক্তি ছিন্ন হওয়ার পরে নতুন স্পনসর হিসেবে আগ্রহ দেখায় বাইজুস ও কোকা-কোলা। এমনিতেই বাইজুস টিম ইন্ডিয়ার স্পনসর। কয়েক মাস আগেই ওপোর সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন হওয়ার পরে বাইজুস টিম ইন্ডিয়ার নতুন স্পনসর হয়েছে। তার মধ্যে আইপিএলের দল কলকাতা নাইট রাইডার্সের স্পনসরও বাইজুস।
অন্যদিকে পানীয় সংস্থা কোকা-কোলাও নাকি উৎসাহ দেখায় আইপিএলের সঙ্গে যুক্ত থাকার বিষয়ে। এই সংস্থার তরফে জানানো হয়েছে, ক্রিকেটে যুক্ত থাকতে চান তাঁরা। আগ্রহ দেখায় বাবা রামদেবের সংস্থা পতঞ্জলি ও টাটা গ্রুপও। কিন্তু সবাইকে টপকে স্পনসর হল ড্রিম ১১।
২০১৭ সালে ভিভোর সঙ্গে ৫ বছরের চুক্তি করেছিল বিসিসিআই। প্রতি বছর ৪৪০ কোটি টাকা করে মোট ২২০০ কোটি টাকার চুক্তি রয়েছে ভিভোর সঙ্গে। তাই যদি এ বছর ভিভো সরে দাঁড়ায় তাহলে শুধু এক বছর নয়, তিন বছর অর্থাৎ ১৩২০ কোটি টাকা লোকসান হবে বিসিসিআইয়ের। সেটা চাইছে না বোর্ড।
বিসিসিআইয়ের এক কর্তা জানিয়েছেন, আপাতত এবছর অন্য স্পনসর নেওয়ার চিন্তা ভাবনা রয়েছে। আগামী বছর পরিস্থিতি দেখা হবে। এখনকার মতো চিনা কোম্পানির বিরোধিতা তখন নাও থাকতে পারে। তখন ফের ভিভোকে আনা হতে পারে। সেক্ষেত্রে চুক্তি বাড়িয়ে ২০২৩ সাল পর্যন্ত করা হতে পারে। তাহলে চুক্তির পুরো টাকাই পাবে বিসিসিআই। সেই ভাবনা রয়েছে তাদের। সেই মতোই ড্রিম ১১ – এর সঙ্গে ২০২০ সালের ডিসেম্বর মাস পর্যন্ত চুক্তি করেছে বোর্ড।