দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ মঙ্গলবার ভোররাতে পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মীরের বালাকোটে হানা দিয়েছে ভারতের বিমান বাহিনী। এদিনই অস্ট্রেলিয়া থেকে কড়া বার্তা পাঠানো হল ইসলামাবাদকে। তাতে বলা হয়েছে, পাকিস্তানের মাটিতে যে জঙ্গি গোষ্ঠীগুলি সক্রিয়, তাদের বিরুদ্ধে অবিলম্বে যথাযথ ব্যবস্থা নিতে হবে। সরাসরি জইশ ই মহম্মদ ও লস্কর ই তৈবার নাম করে বলা হইয়েছে, এই দু’টি সংগঠনের বিরুদ্ধে বিশেষভাবে ব্যবস্থা নেওয়া প্রয়োজন। দু’টি সংগঠনেরই ঘাঁটি পাকিস্তানে। তারা ভারতে একাধিক জঙ্গি হানায় যুক্ত।
অস্ট্রেলিয়ার বিদেশমন্ত্রী মারিস পেইন এক বিবৃতিতে বলেন, জইশ ই মহম্মদের মতো সংগঠনের বিরুদ্ধে পাকিস্তানকে এখনই ব্যবস্থা নিতে হবে। এই ধরনের গোষ্ঠীকে পাকিস্তানের মাটি থেকে কার্যকলাপ চালাতে দেওয়া উচিত হবে না।
কাশ্মীরের পুলওয়ামায় ১৪ ফেব্রুয়ারির জঙ্গি হানার দায় স্বীকার করেছে জইশ। সেদিন জইশের এক আত্মঘাতী জঙ্গি বিস্ফোরকভর্তি গাড়ি নিয়ে সিআরপিএফের কনভয়ে ধাক্কা মারে। ৪০ জনের বেশি জওয়ান শহিদ হন। এর আগে ২০০৮ সালে মুম্বইয়ে হামলা চালায় লস্কর। তাতে দেড়শর বেশি মানুষ মারা যান।
পাকিস্তান এখনও স্বীকার করেনি সেদেশের মাটিতে জঙ্গিদের ঘাঁটি আছে। সোমবার পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর উদ্দেশে বলেন, শান্তিকে সুযোগ দিন। ভারত যদি আমাদের হাতে নির্দিষ্ট প্রমাণ তুলে দিতে পারে, আমরা সন্ত্রাসবাদীদের শাস্তি দেব। কিন্তু তাঁর কথায় ভরসা রাখেনি ভারত। কারণ জইশ ই মহম্মদ নিজেই স্বীকার করেছে, পুলওয়ামায় হামলার সঙ্গে তারা যুক্ত। পাকিস্তানে জইশের ঘাঁটি থাকা সত্ত্বেও তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।
পুলওয়ামায় হামলার পরে বিশ্বের বেশিরভাগ দেশ ভারতকে সমর্থন করেছিল। রাষ্ট্রসঙ্ঘের নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্য ফ্রান্স জানিয়েছে, মাসুদ আজহারকে যাতে আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদী বলে ঘোষণা করা হয়, সেজন্য তারা প্রস্তাব আনবে। আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, ভারত কোনও কঠিন পদক্ষেপ নিতে চায়। তারা কিছুদিন আগেই প্রায় ৫০ জনকে হারিয়েছে। আমি তাদের মানসিকতা বুঝি।
এদিন ভারত সরকার এক বৈঠকে ১২ টি দেশকে বালাকোটে হানা নিয়ে বিস্তারিত জানায়। বৈঠকে আমেরিকা, ব্রিটেন, রাশিয়া, অস্ট্রেলিয়া, ইন্দোনেশিয়া, তুরস্ক ও আসিয়ান গোষ্ঠীভূক্ত ছ’টি দেশের প্রতিনিধি ছিলেন।