অমিত-সফরের আগে মমতাকে চিঠি দিয়ে দলও ছাড়লেন শুভেন্দু অধিকারী

0
1153

দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ অমিত-সফরের আগে তৃণমূল সভানেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে তাঁর ইস্তফার চিঠি পাঠিয়ে দলও ছেড়েদিলেন শুভেন্দু অধিকারী।যা থেকে স্পষ্টতর হচ্ছে অমিতের সফরেই তাঁর বিজেপি-তে যোগদানের সম্ভাবনা।
বুধবার বিধায়ক পদে থেকে ইস্তফা দিয়েছেন শুভেন্দু। চব্বিশ ঘন্টা পর বৃহস্পতিবার দুপুরে দলের প্রাথমিক সদস্য পদ ছেড়ে দিলেন তিনি। তৃণমূলের রাজ্য কমিটির সাধারণ সম্পাদক ছিলেন শুভেন্দু। সেই সঙ্গে দলের নীতি নির্ধারক কমিটি তথা সাত জনের কোর কমিটির অন্যতম সদস্য ছিলেন। সমস্ত পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন তিনি।


তৃণমূল সভানেত্রীকে দেওয়া ওই চার লাইনের চিঠিতে সৌজন্যে ত্রুটি রাখেননি এই তরুণ নেতা। তিনি লিখেছেন, “আমাকে যে চ্যালেঞ্জ ও সুযোগ দেওয়া হয়েছিল সে জন্য ধন্যবাদ। দলের একজন সদস্য হিসাবে যে সময় আমি কাটিয়েছি তাকে সর্বদাই মূল্য দিই।”
তৃণমূলের সঙ্গে শুভেন্দুর সম্পর্ক সেই গোড়ার দিন থেকে। তার পর থেকে নানা ঘাত প্রতিঘাতের মধ্যে দিয়েই এগিয়েছেন তিনি। তবে মেদিনীপুরের গণ্ডি পেরিয়ে রাজ্য রাজনীতিতে তাঁর উত্থানের মাইলফলক ছিল নন্দীগ্রামের আন্দোলন। শুধু রাজ্যে নয়, জাতীয় স্তরে ছড়িয়েছিল তাঁর নাম। তবে তাঁর ঘনিষ্ঠরা বলেন, ২০১১ সালের পর থেকে তাঁর সঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আস্থার সম্পর্ক দুর্বল হতে শুরু করে। যা ছিল, তা স্রেফ ‘ওয়ার্কিং অ্যাডজাস্টমেন্ট’। সেই বোঝাপড়া ছিন্ন করে বেরিয়ে এলেন শুভেন্দু।

এদিন শুভেন্দুর ইস্তফার সঙ্গে সঙ্গে গোটা রাজ্য জুড়ে ইস্তফার হিড়িক পড়ে যায়। দক্ষিণবঙ্গ পরিবহণ নিগমের চেয়ারম্যান পদ থেকে ইস্তফা দেন কর্নেল দীপ্তাংশু। বিধাননগর পুরসভার প্রশাসক বোর্ডের সদস্য পদ থেকে ইস্তফা দেন দেবাশিস জানা। মালদহে পাঁচ জন ব্লক সভাপতি ইস্তফা দেন দল থেকে। ওদিকে আসানসোলেও এদিন বিকেলে প্রশাসক বোর্ড থেকে গণইস্তফা হতে পারে বলে খবর।
সূত্রের মতে, এঁরা সবাই শনিবার শুভেন্দুর সঙ্গে বিজেপিতে যোগ দেবেন। তার আগে আগামী ৪৮ ঘণ্টা খুব গুরুত্বপূর্ণ। কারণ ঘণ্টায় ঘণ্টায় ইস্তফার খবর আসতে পারে।

Previous articleরতন-মুকুল কী কথা হল?বনগাঁ,বর্ধমান, ডানকুনি মালদহ, হুগলি, হরিণঘাটা- ক্রমশ সংক্রামিত হচ্ছে তৃণমূল ত্যাগ
Next article‘ভারতই আমাদের প্রকৃত বন্ধু’, মোদীর সঙ্গে ভার্চুয়াল বৈঠকে বললেন হাসিনা

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here