অন্বেষা সেন,দেশের সময়: এই তো এক সপ্তাহ আগে কলকাতার রাস্তায় রিকশায় চলতে চলতে হঠাৎ শুনলাম কোকিলের ডাক। ভাবলাম, বাহ! বসন্ত এসে গেছে…। উৎসবপ্রেমী বাঙালির বসন্ত উৎসব শুরু হয়ে গেছে। শিশুরাই–বা বাদ যাবে কেন? উৎসব আয়োজনে শিশুদের আনন্দ একেবারে অকৃত্রিম।
বসন্ত শব্দটির সঙ্গে ফুল, রং, সৌরভ, কচি কিশোলয়—শব্দগুলো যেন সমীকরণের ধারায় চলে আসে। রঙিন পোশাকে কচি, মুখের হাসি জগতের অন্যতম সুন্দর দৃশ্য। নাই–বা হলো দেখা বিশ্বের সব বিস্ময়কে। এই হাসিই যেন মা–বাবার জীবনের ‘সব’ পাওয়া।
ছোটবেলায় হলদে শাড়ি পরে বসন্ত উৎসব উদ্যাপনের স্মৃতি মনের পটে ভাসে। আজও অপেক্ষা করি রঙিন দিনটির জন্য। তবে ছোটবেলার সেই নির্ঝঞ্ঝাট আনন্দের দিনগুলো তো আর ফিরে আসার নয়। শিশুর জন্য উৎসব হোক আনন্দের, প্রাণখোলা হাসির। উৎসব হোক রঙিন, ছড়িয়ে পড়ুক হাসির ফুলঝুরি। আর এই ভালো লাগা প্রকাশ পাক এই দৃষ্টিহীন ও মানসিক ভারসাম্যহীন কিশোর কিশোরীদের মধ্য দিয়ে।
কলকাতার একটি স্বেচ্চা সেবী সংস্থার উদ্যেগে শতাধিক মানসিক ভারসাম্যহীন ও দৃষ্টিহীন কিশোর কিশোরীদেরকে নিয়ে শনিবার বিকালে শ্যামপার্ক থেকে ব্লাকওয়াস স্কোয়ার পর্যন্ত অভিনব বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রার আয়োজন করে৷ মেতে ওঠেন রঙিন আবির খেলায়, সাথে চলে নাচ,গান এবং বিভিন্ন রকম সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান৷ কিছুক্ষণের জন্য হলেও হাসি ফুটে ছিল ওদের মুখে। বসন্তের ছোঁয়া পেয়ে খুশিতে মেতে ওঠেন কিশোর কিশোরীরা৷ ছবি -কুন্তল চক্রবর্তী।