দেশের সময়ঃ তিনি ২৯ বছরের সুন্দরী তরুণী, পেশায় ডাক্তার ও নেশায় মডেল। মাঝেমধ্যেই ফেসবুকে নিজের ঝকঝকে সব ছবি পোস্ট করেন। এ বার নিজের অন্তর্বাস পরা পোশাক পরা ছবি পোস্ট করে বিপাকে পড়েছেন তিনি। তাঁর ডাক্তারির লাইসেন্সই বাতিল করে দিয়েছে সে দেশের রক্ষণশীল সরকার। তবে তাতে দমে যাওয়ার পাত্রী নন ন্যাং মে স্যান। তিনি মেডিক্যাল কাউন্সিলের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল করবেন আদালতে।
ন্যাং স্যান বরাবরই সাহসী। ফেসবুকে ঘনঘন নিজের আকর্ষণীয় ছবি পোস্ট করেন তিনি। কখনও সুইমিং কস্টিউমে, কখনও অন্তর্বাসে, কখনও ফিগার হাগিং টাইট বা স্বচ্ছ পোশাকে। আবার মায়ানমারের নিজস্ব পোশাককেও একটু সাহসী ভাবে পরে ছবি তোলেন তিনি। তাতেই চটেছে সে দেশের সরকার। অনেকে যেমন এই তরুণীর এই সব ছবি পছন্দ করেন, অনেকে আবার কড়া সমালোচনা করতেও ছাড়েন না। তাঁদের বক্তব্য, মানবাধিকার বা স্বাধীনতার অর্থ এই নয় যে যা খুশি তাই পরব, খোলামেলা পোশাক পরে দেশের সংস্কৃতিকে অসম্মান করব।
স্যান পাঁচ বছর ডাক্তারি করেছেন। পরে তিনি মডেলিংয়ে বেশি মন দেন। তবে তাঁর কথায়, তিনি যখন রোগী দেখেন, তখন খোলামেলা পোশাক পরেন না।
গত ৩ জুন মায়ানমার মেডিক্যাল কাউন্সিল এক চিঠি দিয়ে স্যানকে জানায় তাঁর পোশাক পরিচ্ছদ সে দেশের সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের বিরোধী। তাই তাঁর লাইসেন্স বাতিল করা হলো। এই সিদ্ধান্তে স্যানের বক্তব্য, তাঁর ব্যক্তিগত স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ করা হচ্ছে। গত জানুয়ারিতে তাঁকে একবার নোটিস পাঠিয়ে বলা হয়ে ফেসবুকের ছবি মুছে দিতে। স্যান অবশ্য সে কথা মানেননি।
বিশ্ব ব্যাঙ্কের তথ্য অনুযায়ী, মায়ানমারে প্রশিক্ষিত ডাক্তারের অভাব খুবই বেশি। সেই পরিস্থিতিতে এক জন ডাক্তারকে এ ভাবে বসিয়ে দেওয়া ঠিক নয় বলে অনেকের মত।