দেশেরসময় ওয়েবডেস্কঃ : বয়স মাত্র চার মাস। বিশ্বরেকর্ড কাকে বলে, বোঝার কথা নয় তার, বোঝেও না। কিন্তু, না বুঝেই চার মাসের শিশুটি করে ফেলেছে এক বিশ্বরেকর্ড। অন্ধ্র প্রদেশের নন্দিগামা জেলার কৈবল্য। সম্প্রতি এই চার মাস বয়সী শিশুটির নাম উঠেছে ‘নোবেল বুক অব ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসে’। এই বয়সেই সে, শাকসবজি থেকে শুরু করে পশু-পাখি ইত্যাদি ১২০টি ভিন্ন ভিন্ন বস্তু শনাক্ত করতে পারে। আলাদাভাবে চিনে নিতে পারে। চার মাস বয়সী কোনও শিশুর পক্ষে যে এটা এক অসাধারণ কৃতিত্ব, তা বলাই বাহুল্য। তার এই বিশেষ ক্ষমতা দেখে অনেকেই বলছেন, ভবিষ্যতে আইনস্টাইনের মতো জিনিয়াস হয়ে উঠতে পারে কৈবল্য।
4-Month-Old Baby Sets #WorldRecord
— Informed Alerts (@InformedAlerts) February 17, 2024
Kaivalya, a 4month-old baby from Andhra Pradesh, achieves a remarkable feat by recognizing 120 types of pictures, including birds, vegetables, & animals. Kaivalya's talent acknowledged by Noble World Records highlights early cognitive abilities pic.twitter.com/sTp1Z3IE3d
কৈবল্যর এই বিশেষ ক্ষমতা পরিচয় প্রথম পেয়েছিলেন তার মা হেমা। ছেলের দক্ষতা ভিডিয়োতে রেকর্ড করে ছিলেন তিনি নোবেল ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠিয়েছিলেন। সেই ভিডিয়ো দেখে সম্প্রতি অন্ধ্র প্রদেশে তাদের বাড়িতে এসেছিল নোবেল ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসের একটি দল। কৈবল্যের বিশেষ প্রতিভা অতি সাবধানতার সঙ্গে তারা খতিয়ে দেখে।
তারপর কৈবল্যকে তার ব্যতিক্রমী স্মৃতির স্বীকৃতি হিসেবে একটি শংসাপত্র দিয়েছে নোবেল ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস। চলতি বছরের ৩ ফেব্রুয়ারি তাকে বিশ্ব রেকর্ডধারী হিসেবে ঘোষণা করা হয়। নোবেল ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস জানিয়েছে, কৈবল্যই বিশ্বের প্রথম চার মাস বয়সী শিশু, যে ১০০-র বেশি ছবি দেখে সেগুলিকে শনাক্ত করতে পারে।
সোশ্যাল মিডিয়ায় এখন ফ্ল্যাশকার্ড দেখে কৈবল্যর বিভিন্ন বস্তু শনাক্ত করার ভিডিয়ো ভাইরাল হয়েছে। সেই ভিডিয়োতে দেখা যাচ্ছে, সে ১২০টা ফ্ল্যাশকার্ড দেখে ঠিক চিনে নিচ্ছে। এর মধ্যে ছিল ১২টি ফুলের ছবি, ২৭টি সবজির ছবি, ২৭টি ফলের ছবি, ২৭টি পশুর ছবি এবং ২৭টি পাখির ছবি।
ভিডিয়োটিতে, তার পরিবারের সঙ্গে কৈবল্যকে বিশ্বরেকর্ডের স্বীকৃতির পদক-সহ দেখা গিয়েছে। বলাই বাহুল্য তার এই কীর্তিতে অত্যন্ত খুশি শিশুটির বাবা-মা। তাঁদের আশা, কৈবল্যের কাহিনি তাঁদের মতো অন্যান্য বাবা-মায়েদের অনুপ্রেরণা দেবে। তাঁরাও তাঁদের ছেলেমেয়েদের বিশেষ প্রতিভা আবিষ্কার করতে পারবেন। অনেকেই বলছেন, কৈবল্যের স্মৃতি শক্তি অবশ্যই তাঁর ভবিষ্যতের সম্ভাবনার ইঙ্গিত। তবে, তাঁকে অনেক সতর্কতার সঙ্গে বড় করতে হবে। ছোটবেলা থেকে পাওয়া খ্যাতি যাতে তার অগ্রগতির পথে বাধা না হয়ে দাঁড়ায়, সেই বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে।