দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ ক্রিসমাস ইভের সকালে হাড়কাঁপুনি ঠান্ডা। অথচ বড়দিনের আগে শহরবাসীর শীতের আমেজে বাধা দিয়ে ফের সামান্য কিছুটা বাড়ল কলকাতার তাপমাত্রা। দুপুরের পর থেকেই হাওয়া বদলের ইঙ্গিত দিয়েছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর। বেলা যত গড়াবে ততই তাপমাত্রা বৃদ্ধি পাবে শহরে। কলকাতা সহ দক্ষিণবঙ্গের জেলায় জেলায় বাড়বে তাপমাত্রা ৷
আগামী দু’এক দিনে তাপমাত্রা দুই থেকে চার ডিগ্রি পর্যন্ত বাড়তে পারে বলে জানাচ্ছে হাওয়া অফিস। এদিকে, বাড়বে কুয়াশার প্রকোপ। দৃশ্যমান্যতা কমবে। ফলে বড়দিনে শীতের আমেজ ফিকে হওয়ার খবরে শীতপ্রেমীদের মন খারাপ।
আলিপুর আবহাওয়া দফতর জানাচ্ছে, বড়দিনের সকাল পর্যন্ত শীত বজায় থাকলেও দুপুর থেকে তাপমাত্রা ক্রমশই বাড়তে শুরু করবে। বিশেষ করে আগামী ২৪ ঘণ্টায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা দুই থেকে চার ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত বেড়ে যেতে পারে দুই বঙ্গেই। তাপমাত্রা বৃদ্ধি পাওয়ায় বড়দিনে শীতের আমেজ কমবে।
উত্তরবঙ্গের ক্ষেত্রে জলপাইগুড়ি, কোচবিহার, দুই দিনাজপুর এবং মালদায় দৃশ্যমানতা কম থাকবে। গোটা উত্তরবঙ্গজুড়েই ঘন কুয়াশা থাকবে। দৃশ্যমানতা ৫০ থেকে ২০০ মিটার থাকবে। দক্ষিণবঙ্গেও হালকা থেকে মাঝারি কুয়াশা থাকবে। কলকাতাতেও মাঝারি কুয়াশা প্রভাব থাকবে বলে জানাচ্ছে হাওয়া অফিস।
আলিপুর আবহাওয়া দফতর জানাচ্ছে, শনিবার কলকাতা শহরের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৪.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। শক্রবার শহরের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ২৭.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা স্বাভাবিকের থেকে এক ডিগ্রি বেশি। বাতাসে আপেক্ষিক আর্দ্রতা থাকবে পারে ৯৬ শতাংশ। ফলে শীত থিতু হতে না হতেই ফের একবার মন ভেঙে গেল রাজ্যবাসীর।
শুধু বড়দিনই নয়, নতুন বছরের আগে পর্যন্ত শীতের প্রত্যাবর্তনের কোনও সম্ভাবনা নেই। পাশাপাশি বঙ্গোপসাগরে ঘুর্ণাবর্তের আশঙ্কাও করা হয়েছে। এই ঘুর্ণাবর্তের প্রভাবেই বঙ্গের বাতাসে মিশবে জলীয়বাষ্প। জলীয়বাষ্পের প্রভাবে বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ বৃদ্ধি পাবে। যদিও পশ্চিমাঞ্চলের তাপমাত্রা রাজ্যের অন্যান্য অঞ্চলের তুলনায় কম থাকবে। নতুন বছরের শুরুতেও তাপমাত্রার পারদ নামবে না বলেই জানানো হয়েছে।